টমেটোর কয়েকটি গোপণ উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নিন
আপনি কি টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন এবং কাঁচা টমেটো খাওয়া ভালো না পাকা টমেটো খাওয়া ভালো এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি একমাত্র আপনার জন্য লেখা।
টমেটো বেশ সহজ লভ্য একটি সবজি। এটি আমরা তরকারিতে বেশীর ভাগ সময়ই ব্যবহার করে থাকি।তাই টমেটো খাওয়ার আগে আমাদের টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
পেজ সূচিপত্র : টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
- টমেটো খাওয়ার অপকারিতাগুলো জানুন
- লাল বা পাকা টমেটোর পুষ্টিগুণ
- কাঁচা টমেটোর পুষ্টিগুণ
- লাল বা কাঁচা টমেটো কোনটি ভালো
- গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
- টমেটোর পুষ্টি উপাদান
- লেখকের শেষ মন্তব্য
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
পূর্বের একটি আর্টিকেলে টমেটো কাদের জন্য খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এবং ঐ আর্টিকেলটিতে টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা প্রদান করেছি। তবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টমেটোর আরো পুষ্টিগুণ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে আলোচনা করব। অতএব আপনি যদি টমেটোর বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়তে থাকুন। তাহলে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন ইনশা-আল্লাহ। টমেটো চিনে না কিংবা খায় না এমন সংখ্যক মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। কারণ আমাদের দেশে টমেটো খুবই সস্তা একটি সবজি। তাই এটি সবাই কম বেশী তরি-তরকারিতে ব্যবহার করে থাকেন।
সামান্য টক জাতীয় এই সবজির মাঝে কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কেই আমরা সব কিছু বিস্তারিত জানবো। টমেটো হলো সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি শীত মৌসুমের ফসল হলেও বর্তমান সময়ে এটি সারা বছরই পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা উভয়ই অবস্থায় টমেটো খাওয়া যায়। সালাদ, তরকারি, সস, স্যুপ ইত্যাদি সকল জায়গায় টমেটো ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
টমেটো হলো অন্যতম একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট ও পটাশিয়াম। তা ছাড়া এতে রয়েছে আরো পুষ্টি উপাদান যে গুলো হলো থায়ামিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও কপার৷ আবার আপনি এক গ্রাম টমেটো এর মধ্যে পেয়ে যাবেন দুই গ্রাম সম পরিমাণ ফাইবার বা তন্তু। এর মধ্যে কিছুটা পানিও রয়েছে।
স্কিনে কোনো সমস্যা থাকলে কাজে আসে টমেটো। অত্যন্ত ভালো একটি উপাদান হিসেবে কাজ করে চর্ম রোগ এর জন্যে। এটি প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে পারেন। এর রস চর্ম রোগ নিরাময়ে কাজ করে থাকে। বয়স এর ছাপ দূর করার জন্যে কিংবা মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। টমেটোর রস মুখের ত্বককে মসৃণ করে ও কোমল করে তুলে। আপনার যদি
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখে ছাপ পড়ে যায়, তাহলে কাজে আসবে এই টমেটো। কেননা টমেটো বয়সের ছাপ দূর করে ত্বক কে করে তুলে কোমল ও সতেজ। উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে টমেটো। আপনার যদি উচ্চ রক্ত চাপ জনিত কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে সাহায্য নিতে পারেন টমেটোর। আপনি প্রত্যেক দিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে একটি বা দুইটি টমেটো খেতে পারেন।
এর ফলে এই গুলো আপনার রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রক্ত স্বল্পতা মহিলাদের একটি কমন সমস্যা। তাই এটি দূর করার জন্যে আপনাকে টমেটো অনেক উপকার করবে। প্রতিদিন দুইটা বা একটা করে যদি টমেটো খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার রক্ত স্বল্পতা জনিত সমস্যা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। যদি সর্দি বা কাশি এর মতো সমস্যায় ভূগে থাকেন তাহলে
আপনার কাজে আসতে পারে এই টমেটো। এর জন্যে আপনি একটি বা দুইটি টমেটো নিয়ে সে গুলো কে ভালো ভাবে টুকরো করে স্যুপ তৈরি করে নিতে পারেন। চিনি অল্প ও পাত্রে লবণ দিয়ে গরম করে নিতে পারেন। এর ফলে আপনার সর্দি - কাশিতে উপকার হতে পারে। আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নানা কারণে বেড়ে যেতে পারে। তবে এই টমেটো হলো জ্বর নিরাময়ে সহায়ক। তাই যদি সামান্য
জ্বর হয়ে থাকে তবে টমেটো খেলে আরাম পাবেন। অনেকের দেখা যায় দাঁতের গুঁড়া অর্থাৎ মাড়ি থেকে রক্ত পাত হয়। এই সমস্যা সমাধান করার জন্যে আপনি খেতে পারেন টমেটো। কারণ আপনার মাড়ি থেকে রক্ত বের হওয়ার কারন হতে পারে ভিটামিন সি এর অভাব। আর টমেটো তে এই ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। যার ফলে প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে
রক্তপাত বন্ধের উপকার পেতে পারেন। টমেটো রয়েছে পানি। আপনি নিয়মিত খেলে আপনার ত্বক থাকবে সতেজ। এটি আপনার ত্বক কে সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। আপনার ত্বকের বলি রেখার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে উপস্থিত আছে লাইকোপেন ও ভিটামিন এ। এই উপাদান গুলো অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
তাই সমস্যা সমাধানে খেতে পারেন টমেটো৷ খনিজ উপাদান হিসেবে এখানে উপস্থিত রয়েছে ক্যালসিয়াম৷ এই উপাদান হাড়ের জন্যে অনেক উপকার করে থাকে। তাই যদি হাড় দূর্বলতাজনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে খেতে পারেন টমেটো।
টমেটো খাওয়ার অপকারিতাগুলো জানুন
অনেক দেখা যায় যদি বেশী পরিমাণে টমেটো খাওয়া হয় তাহলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অ্যাসিড রিফ্লাক্স এর মতো সমস্যা। টমেটো যেহুতো অম্লীয় প্রকৃতির তাই বেশী পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বেশী খেলে আপনার বুক জ্বালা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স দেখা দিতে পারে। আপনি হজমের চাপে
ভূগে থাকলে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। টমেটো তে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে অক্সালেট এর পরিমাণও বেশী। তাই যাদের দীর্ঘ মেয়াদী কিডনি সমস্যা রয়েছে তাদের এটি খাওয়া উচিত নয়। যদি অত্যধিক পরিমাণে টমেটো খাওয়া হয় তবে জয়েন্টে ব্যাথা বা ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। লাইকোপিন আপনার শরীরের জন্যে বেশ ভালো। তবে যদি
অত্যধিক পরিমাণে সেবন করা হয় তাহলেই ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাবে। হিস্টামিন এর কারণে ত্বকে অ্যালার্জি এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই টমেটো নিজের জন্যে যতটুকু ততটুকুই খাবেন।
লাল বা পাকা টমেটোর পুষ্টিগুণ
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। টমেটো সাধারণত দুই ভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। কাঁচা ও পাকা দুই ধরণেরই টমেটো আমরা সবজি হিসেবে তরি- তরকারি বা সালাদে ব্যবহার করে থাকি। লাল বা পাকা টমেটো এর মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। লালা বা পাকা টমেটো তে রয়েছে লাইকোপিন নামক উপাদান। এই উপাদান সাধারণত কোলন ও পাকস্থলীর
ক্যানসার এর ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। তা ছাড়া সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে এটি আমাদের ত্বক কে রক্ষা করে থাকে। লাল বা পাকা টমেটো এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে। এই গুলো ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে থাকে। হাড়ের টিস্যু পূর্ণগঠনেও এর ভুমিকা রয়েছে। লাল বা পাকা টমেটো তে পাওয়া যায় পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি এর মতো উপাদান। রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা
কমিয়ে রাখতে এটি সাহায্য করে। যার ফলে হৃদরোগ এর মতো যে সমস্যা গুলো রয়েছে সে গুলো সামাধান করে থাকে। লাল বা পাকা টমেটো রান্না করে হলে এতে কিছু ভিটামিন হ্রাস পায়। যেমন এতে থাকা ভিটামিন সি এর পরিমাণ হ্রাস পায়। আবার লাইকোপিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
কাঁচা টমেটোর পুষ্টিগুণ
বাজারে লাল ও কাঁচা উভয় টমেটোই বিক্রি করা হয়ে থাকে। কাঁচা টমেটোর রয়েছে নিজস্ব কিছু পুষ্টিগুণ। এই পুষ্টি গুণ গুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো ভিটামিন সি। কাঁচা টমেটো তে ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশী থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তা ছাড়া ত্বক ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যে অনেক উপকারী। কাঁচা টমেটো তে থাকে পটাশিয়াম ও ফলেট।
পটাশিয়াম রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। আর ফলেট নামক পুষ্টি উপাদান কোষ বৃদ্ধিতে এবং গর্ভবতী অবস্থায় ভ্রুণের বৃদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে থাকে। তা ছাড়া কাঁচা টমেটো তে থাকে লাইকোপিন। এটি হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট৷ এটি কোষ বিভাজন সঠিক ভাবে হতে সাহায্য করে থাকে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। আবার কাঁচা টমেটোতে পাওয়া যায় উচ্চ
পরিমাণে ফাইবার বা তন্তু। যার এটি আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে ভুমিকা পালন করে থাকে। আবার এতে থাকো সোলানাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ। যার ফলে এটি বেশী পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর।
লাল বা কাঁচা টমেটো কোনটি ভালো
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। উপরে কাঁচা ও পাকা টমেটো এর পুষ্টি গুণ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি লাল ও কাঁচা টমেটো উভয়ই খেতে পারেন। কারণ টমেটো উভয় অবস্থায় আপনি পাবেন লাইকোপিন, ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে, পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো। যে গুলো আমাদের জন্যে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাইকোপিন এর মাধ্যমে আমাদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা পায়। কোলন ও পাকস্থলী তে ক্যান্সার এর ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। ভিটামিন এ আমাদের ত্বক কে সতেজ করে রাখে৷ ভিটামিন কে হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে। হাড়ের মধ্যে টিস্যু পূর্ণগঠন করতে ভুমিকা রাখে। পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও
কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করতে ভুমিকা রাখে। লাল টমেটো রান্নার সময় কিছু ভিটামিন হ্রাস পেলেও লাইকোপিন এর পরিমাণ বেড়ে যায়। সবশেষে টমেটোর উভয় অবস্থায় টমেটোর বিশেষ পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই আপনার যদি কোনো সমস্যা না হয় টমেটো খেতে তাহলে উভয়ই খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। যেহুতো টমেটো তে কার্বোহাইড্রেট থাকায় শক্তির যোগান দেয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে উন্নত করে থাকে। রক্ত ক্ষয় রোধ করে রক্ত শূণ্যতা রোধ করে থাকে। হজম শক্তি কে উন্নত করার পাশাপাশি এটি জন্ম ত্রুটি গুলো প্রতিরোধ করে থাকে। হার্ট কে সুস্থ রাখে এবং এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন কে উন্নত করে থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভুমিকা রাখে।
টমেটোর পুষ্টি উপাদান
ডায়েটের জন্যে ভালো একটি খাবার হলো টমেটো। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৮ গ্রাম ক্যালরি থাকে। এটি হলো ভিটামিন সি, এ, বি৬, কে এর উৎস। এর মধ্যে লাইকোপিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। মিনারেল হিসাবে এখানে উপস্থিত রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এতে ৯৪ শতাংশ পানি রয়েছে। এতে রয়েছে ফাইবার, যা হজম শক্তিকে উন্নত করে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে টমেটোর উপকারিতা অপকারিতা টমেটোর মধ্যে নিহিত পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এবং গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব আপনি যদি টমেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান বা খুজে থাকেন তাহলে আশা করি এই আর্টিকেলটি থেকে সকল কিছু ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই আর্টকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আর এই ধরনের আরো জ্ঞান মুলক আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url