টমেটো খেলে ত্বক ফর্সা হয় কিনা তা জেনে নিন

টমেটো খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়? এই সম্পর্কে যারা জানেন না, তাদের জন্যে আজকের আর্টিকেটি। টমেটো পুষ্টি সম্পন্ন একটি সবজি, কিন্তু এর পুষ্টি উপাদান কি ত্বক কে ফর্সা করতে পারে? তাই ত্বক ফর্সা হওয়াতে টমেটোর ভুমিকা জেনে নিন।

টমেটো-খেলে-কি-ত্বক-ফর্সা-হয়

টমেটো আমাদের খুবই পরিচিত একটি সবজি। এটি হাতের নাগালেই পাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু টমেটো টক ফর্সা করতে কোন ভূমিকা রাখে কিনা তা যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্র :

টমেটো খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়?

টমেটো হল একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার ও সবজি। এটি আমাদের ত্বক কে ভালো রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। অনেক কেই দেখবেন যে তারা টমেটো ব্যবহার করে নিজেদের ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন। ফর্সা হওয়ার জন্যে টমেটো বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। এই টমেটো আমাদের ত্বক বা স্কিন কে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে থাকে।

আবার ব্রুণ দূর করা সহ আরো নানা ধরণের অনেক গুলো উপকার করে থাকে। শীত কালীন ফসল হলেও এটি এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। তাই চলুন দেখে নিই টমেটো আমাদের ত্বক কিভাবে ফর্সা করতে ভুমিকা পালন করে থাকে। আমাদের ত্বকে বিভিন্ন কারণে মৃত কোষ দেখা যায়। এই গুলো থাকার ফলে ত্বক বিবর্ণ দেখা যায়। দূষণ, ধুলোবালি ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে

আমাদের ত্বকে প্রচুর ময়লা জমে ও তেল শোষণ হয়। ময়লা গুলো ত্বকের ছিদ্রে গিয়ে আটকে যায়। যদি আপনি এটি সাধারণ উপায় অনুসরণ করে পরিষ্কার করে থাকেন তাহলে তেমন একটা কাজ হয় না।তবে টমেটো তে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এনজাইম। যে গুলো এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ভালো কাজ করে থাকে। তাই এর জন্যে আপনি

টমেটোর কিছু পাল্প নিয়ে মুখে ঘষা দিতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষ গুলো পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের ছিদ্র গুলোও ময়লা মুক্ত হবে। ব্রণ হলো একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অধিকাংশ মানুষেরই উঠতি বয়সে বা পরবর্তী সময় গুলো তে এই সমস্যা গুলো দেখা দেয়। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে

এটি সুপরিচিত একটি সমস্যা। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন টমেটো কে। কেননা ত্বকের ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর করতে সাহায্য করে থাকে এই টমেটো। কারণ হলো এটি অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি- ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। তাছাড়া টমেটো তে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি। এই দুটি উপাদান ব্রণ তাড়াতে বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে।

আমাদের অনেকেরই ত্বকে তৈলাক্ত একটা ভাব থাকে। এটি খুবই বিরক্তিকর। তবে টমেটে এই সমস্যা সমাধান করার জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি অম্ল ধর্মী হওয়ার কারণে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। এর সাথে আমাদের ত্বকে যে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব রয়েছে তা দূর করতে ভুমিকা রেখে থাকে। 

তাই আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত টমেটো ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এক দিকে যেমন তৈলাক্ত ভাব ছাড়বে অন্য দিকে ঠিক তেমনি ত্বক হবে সুন্দর ও ফর্সা৷ টমেটো তে থাকা অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণ তৈল দূর করে থাকে। এর সাথে এটি জমে থাকা ময়লা গুলোও দূর করে থাকে।

যার খুব সহজেই দূর হয় ব্ল্যাক হেডস। তাই আপনি যদি ব্ল্যাকহেডস এর মতো কোনো সমস্যায় ভূগে থাকেন, তাহলে আপনার জন্যে কার্যকরী উপায় হলো এই টমেটো। অল্প বয়সেই দেখা যায়, অনেকের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছে৷ কিন্তু টমেটে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে বাধা প্রদান করে থাকে। কারণ এতে উপস্থিত থাকে অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট। 

এটি আমাদের ত্বকের বলি রেখা গুলো কমাতে সাহায্য করে থাকে। এতে বয়স বাড়লেও চেহারায় তেমন একটা ছাপ পড়ে না। টমেটো কোলাজেন ও এলাস্টিনের গঠন কে উদ্দীপিত করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এর ফলে ত্বক থাকে নরম ও সতেজ। চেহারা দেখতে অনেক মসৃণ ও সুন্দর দেখায়। অনেক সময় আমাদের মুখে অনেক অবাঞ্ছিত ছিদ্র থাকে।

এই সমস্যায় আপনি ব্যবহার করতে পারেন এই টমেটো। কেননা এটি ত্বকের অবাঞ্ছিত ছিদ্র গুলো দূর করে ত্বক কে কোমল ও সতেজ করে। সূর্যের তাপে আমাদের অনেকের ত্বকে ট্যান পড়ে যায়। এটি দূর করতে ভুমিকা রাখে টমেটো। আপনি একটা টমেটো চটকে তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। তারপর তা পনেরো মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ত্বক কে ট্যানের পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকারক অতি

বেগুণী রশ্মি থেকেও রক্ষা করবে। যার ফলে ত্বকে শুষ্ক ভাব দূর হবে। টমেটো তে থাকে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। যার ফলে এটি ত্বক কে রোদে পোড়া হতে রক্ষা করে। তাই আপনার ত্বক কে যদি রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচাতে চান তবে ব্যবহার করতে পারেন টমেটো। টমেটোর সাথে বাদাম দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে তা কিছুক্ষণ পর্যন্ত রেখে দিন।

এর ফলে ত্বক কে রোদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বক হয় মসৃণ। ত্বকের পোড়া ভাবও দূর হয়। ত্বকের যত্ন নিতে আপনি খোসা সহ দুইটি লেবুর সাথে বরফ মিশিয়ে মিক্সারে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে কুড়িটা মিন্ট পাতা ও দুটো টমেটো যোগ করে নিন। এই বার মিশ্রণে পাঁচ টেবিল পরিমাণ চিনি যোগ করে নিন। এই মিশ্রনটি যদি আপনি

সপ্তাহে দুই একবার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। আপনার ত্বক কে মসৃণ করার জন্যে এটি বেশ কার্যকর। এর ফলে আপনার ত্বক হবে ফর্সা। টমেটো ত্বকের অন্দরে স্ট্রেস কমিয়ে থাকে। তাই আপনি টমেটো প্রতিদিন মুখে ও সারা শরীরে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। এমনটা করার ফলে দেখা যাবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার ত্বকের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

ত্বকে টমেটো ব্যবহার করার নিয়ম

টমেটো খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়? ইতিমধ্যে তা সম্পর্কে জেনেছেন। সুন্দর হওয়ার জন্যে সব সময় নানা মেকাপ ও আরো কত কি করা হয়। কিন্তু এই সব কিছু আমাদের ত্বক কে নষ্ট করে দেয়। তবে ঘরে বসেই যদি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ফেইস ক্লিনার করেন, তাহলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল হবে। টমেটো হলো এই রকম একটা উপাদান।

আপনার ত্বকের যত্নে টমেটো মেলাভার। আপনি বেশ কয়েক ভাবে এই টমেটো কে আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন। চলুন এমন দুইটি পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই। টমেটো ও শসা ব্যবহার করে আপনি টোনার তৈরি করে নিতে পারেন। তার জন্যে একটি পরিষ্কার ব্লেন্ডারে ছোট একটি শসা ও বড় একটি টমেটো নিয়ে নিন।
ত্বকে-টমেটো-ব্যবহার-করার-নিয়ম
এখন সেটি ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে তা একটি কাঁচের বয়ামে ভরে ফ্রিজে তিন দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করুন। তারপর এই টোনারটি একটি নরম তুলা বা সুতির সাহায্য নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। মুখে লাগানোর পর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি করে

ঘাড় ও মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। টমেটো তে রয়েছে নানা অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট। এটি আমাদের ত্বকে থাকা নানা রকমের ফ্রী র‍্যাডিকেল দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ত্বককে করে তুলে কোমল ও স্বাস্থ্যকর। সূর্যের তাপে যারা ত্বকে জ্বালা ভাব অনুভব করে থাকেন তাদের জন্যে এই টোনার বেশ আরামদায়ক হবে। আবার টমেটো ব্যবহার করে

ফেইস স্কাব তৈরি করে নিতে পারেন। আর সে জন্যে টমেটো কুচি করে কেটে নিন। পরে তার উপরে চা- চামচের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিমান চিনি ছিটিয়ে দিন। এবার এই টমেটো আপনার মুখের ত্বকে সার্কেল করে ধীরে ধীরে লাগিয়ে নিন। এটি করার সময় খুবই সাবধানে করবেন যেন খুব জোরে না হয়ে যায়। ধীরে ধীরে এটি লাগাবেন।

আমাদের ত্বক খুবই স্পর্শ কাতর, তাই জোরে ঘষা হলে র‍্যাশ উঠে আবার মুখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমন কি জোরে ঘষার ফলে মুখ জ্বালা পোড়াও করতে পারে। ঘুমানোর আগে এই স্ক্যাব ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক দিন ব্যবহার করার ফলে দেখবেন ত্বক অনেক মোলায়েম হয়ে গিয়েছে।

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা

টমেটোতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ফলে আমরা যদি এটি নিয়মিত ভাবে খেয়ে থাকি তাহলে অনেক পুষ্টি উপকারিতা পাবো। হার্টের উপকারিতায় এই টমেটো খাওয়া যায়। আবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও টমেটোর ভুমিকা রয়েছে। কেননা এতে বিদ্যমান উপাদান রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করে থাকে। ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে

ভুমিকা পালন করে টমেটো। তাই সালাদ বা জুস হিসেবে আপনার নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখতে পারেন টমেটো কে। তা ছাড়া এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হজম শক্তিও বাড়িয়ে থাকে।

টমেটো খাওয়ার অপকারিতা

ইতোমধ্যে আমরা টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এবার আমরা টমেটোর অপকারিতা সম্পর্কে জানব। যদি পরিমাণ মতে টমেটো না খেয়ে বেশী খেয়ে থাকি তখন আমাদের দেহে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বেশী পরিমাণে যদি টমেটো খাওয়া হয় তাহলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। পেটে অম্লতা দেখা দেয়। যার হলে পেট গলা ও

শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বালাপোড়ার মত সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। আবার অতিরিক্ত পরিমাণ টমেটো খাওয়ার ফলে কিডনি তে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো না খাওয়ার চাইতে পরিমাণ মতো টমেটো খাওয়াটা আমাদের জন্য সবচাইতে ভালো হবে।

টমেটোর মধ্যে যেসব পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়

টমেটো হলো একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান উপস্থিত রয়েছে। এতে রয়েছে অনেক ধরণের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা আমাদের পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে। একটি বড় টমেটো থেকে আপনি ৯৫ শতাংশ পানি পেতে পারেন। তা ছাড়া এটি ৩২.৮ কিলে ক্যালরি পরিমাণ শক্তির যোগান দিয়ে থাকে।

এতে আরো উপস্থিত রয়েছে প্রোটিন ১.৬ গ্রাম, চর্বি ০.৩৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭.০৮ গ্রাম, ফাইবার ২.১৮ গ্রাম, চিনি ৪.৭৯ গ্রাম ইত্যাদি। পাশাপাশি এতে আরো রয়েছে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোক। খনিজ পদার্থ হিসেবে উপস্থিত রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, দস্তা বা জিংক ও তামা। আরো রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে।

টমেটোর পরিচিত জাত সমূহ

টমেটোর পরিচিত অনেক জাত রয়েছে। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে টমেটো চাষ হয়। সারা বছর এই টমেটো পাওয়া যায়। যদিও টমেটো হলো শীতকালীন একটি ফসল। টমেটোর বেশ কয়েকটি পরিচিত জাত হলো বিনা টমেটো-১২, বিনা টমেটো - ১১, বিনা টমেটো - ১০, বিনা টমেটো - ৯, বিনা টমেটো - ১৩, বিনা টমেটো - ৭, বিনা টমেটো - ৬, বিনা টমেটো - ৮ ইত্যাদি। তাছাড়া এতে আরো রয়েছে বিউ চেরি টমেটো - ১ ও বারি টমেটো -১, হায় টম ইত্যাদি।

টমেটোর ফসল কখন ভালো হয়

টমেটো হলো একটি শীতকালীন ফসল। বর্তমান সময়ে এটি সারা বছরই চাষ করা হয়ে থাকে। তুলনামূলক শীতকালে টমেটো ফলন ভালো হয়ে থাকে। তবে গ্রীষ্মকালেই যে টমেটোর ফলন কম হয়ে থাকে তা না। বরং সব সময়ই টমেটো ফলন ভালো হয়ে থাকে৷ আপনি শীত ও গ্রীষ্মকাল উভয় সময়েই টমেটো চাষাবাদ করতে পারবেন।

ফলন ভালো হওয়াটা পরিচর্যা করার উপরও নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি শীত কালে ভালো ভাবে টমেটো চাষ করেন তবে ভালো ফলন পাবেন আশা করা যায়।

টমেটো চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন

এই আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা টমেটোর মধ্যে নিহিত বিভিন্ন উপকারিতা অপকারিতা পুষ্টিগুণ ও টমেটো দিয়ে ত্বক ফর্সা করা যায় কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন আশা করি। তবে এবার আমরা টমেটো চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেব? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
টমেটো-চাষ-পদ্ধতি
কিভাবে টমেটো চাষ করতে হয়। আপনার কাছে যদি টমেটোর চারা থাকে তাহলে আপনাকে চারা গুলো রোপণ করার জন্যে প্রথমে মাটি প্রস্তুত করতে হবে।

এর জন্যে মাটির প্রকার ভেদ অনুসারে ৪ থেকে ৬ টি মই দেওয়ার প্রয়োজন হয়। মাটির চাষ প্রথমটি গভীর হওয়া প্রয়োজন। সেচ দেওয়া ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। সার প্রয়োগ করতে হবে শেষ চাষ করার সময়। যদি বীজ বুনেন তবে লাইন থেকে লাইন ২০ ইঞ্চি দূরে থাকবে। আর চারা লাগালে ২০ ইঞ্চি দূরে লাগাতে হবে।

হজম শক্তি বাড়াতে টমেটোর কার্যকারিতা

টমেটো তে ফাইবার বা তন্তু উপস্থিত থাকার কারনে এটি হজম শক্তি কে বৃদ্ধি করে থাকে। যার ফলে এটি হজমের সমস্যা সমাধান করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও সমাধান করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাবারে রুটিনে টমেটোকে সালাদ হিসেবে হলেও রাখতে পারে পারেন। এর ফলে অনেক উপকার পাবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে টমেটো খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়? তা সম্পর্কে। এই বিষয়ে আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কোনো মন্তব্য থাকলে তা রাখতে পারেন। পাশাপাশি আপনি যদি এই পোষ্টি পড়ে অল্প কিছু হলেও উপকারিতা পেয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।

এবং এই ধরনের আরো আর্টিকেল করতে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url