অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস
অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা দরকার। কেননা আজকাল অনলাইন থেকে অনেক তথ্য হ্যাকিং করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
অনলাইন সিকিউরিটি এখনকার সময়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিনিয়ত অনেকেই অনলাইন থেকে তথ্য চুরি হওয়ার শিকার হচ্ছে। তাই চলুন জেনে নিই অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্র : অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস
- অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস
- সাইবার ঝুঁকি কি জেনে নিন
- কেন সাইবার নিরাপত্তা প্রয়োজন
- সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করার উপায় কি
- অনলাইন নিরাপত্তা কি জানুন
- সাইবার বুলিং কি বিস্তারিত জেনে নিন
- সাইবার অপরাধে আমাদের করণীয়
- সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে গ্রহণীয় পদক্ষেপ
- কিভাবে অনলাইনে তথ্য চুরি হয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস
অনলাইনে এখন অনেক তথ্য চুরি হচ্ছে। এই তথ্য গুলো চুরি করে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছে অনেক প্রতারক চক্র। এর ফলে ভুক্তভূগী নানান সমস্যায় ভূগছেন। অনেকেই আত্মহত্যা পর্যন্ত করে থাকেন, যখন তাদের অনলাইন তথ্য গুলো চুরি হয়ে যায়। আর তাই আপনাকে এই বিষয়ে আগে থাকেই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকতে হবে।
জানতে হবে এটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় তার উপায় সম্পর্কে। তাই আপনি যদি সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে।
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃআপনার অনলাইনে থাকা তথ্য গুলো খুব সহজেই চুরি হয়ে যাবে যদি আপনার প্রদান করা পাসওয়ার্ড খুবই দূর্বল হয়ে থাকে। আর তাই নিজের তথ্য গুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে আপনাকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড গুলো এমন হয়ে থাকে যেগুলো
আরো পড়ুনঃব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস
কেউ আন্দাজ করতে পারে না। সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১৫টি শব্দের মধ্যে এই পাসওয়ার্ড রাখুন এবং এখানে বিভিন্ন বর্ণ, চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার তথ্য গুলো নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে।
২. টু- ফ্যাক্টর অন করে রাখাঃএটি হলো সবচেয়ে কড়া একটি নিরাপত্তা বলয়। আপনি যদি এটি অন করে রাখেন তাহলে কোনো হ্যাকার যদি কোনোভাবে আপনার পাসওয়ার্ড সম্পর্কে জেনে যায় তারপরও সে আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আপনার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে হ্যাকার যখন লগ ইন করার চেষ্টা করবে তখন তার কাছে
একটি কোড চাওয়া হবে যা আসলে আপনার কাছে থাকবে। আপনি যে ফোন নম্বর ব্যবহার করবেন সেখানেই এই সিকিউরিটি কোডটি পাঠানো হবে। এটি একটি পরিবর্তনশীল কোড এবং প্রতিবার লগ ইন করতে গেলে তা ব্যবহার করতে হয়। যদি হ্যাকার এই সিকিউরিটি কোড ব্যবহার করতে না পারে তাহলে সে কোনো ভাবেই আপনার
একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। আর তাই নিজের অনলাইন তথ্য গুলোকে নিরাপত্তার মধ্যে রাখতে চাইলে টু ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন অন করে রাখুন।
৩. আপনার ডিভাইসের সফটওয়্যার আপডেট করে রাখুনঃআপনার সফটওয়্যার গুলো নিয়মিত ভাবে আপডেট করে রাখুন। এখানে অনেক ভাইরাস প্রতিরোধী ফিচার দেওয়া হয়ে থাকে। যার ফলে আপনার সিকিউরিটি আরো অনেক বেশী পরিমাণে শক্তিশালী হয়ে যায়। আর তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্যে প্রতিনিয়ত আপনার সফটওয়্যার গুলো আপডেট করে নেন। এই গুলো আপনাকে নিরাপত্তা দিতে সাহায্য করবে।
৪. অজানা লিংকে ক্লিক না করাঃফিশিং অ্যাটাক শব্দটা আপনার পরিচিত হয়ে থাকলে ব্যাপারটা আপনি বুঝতে পেরেছেন। এখন হ্যাকাররা সাধারণ একটা লিংক তৈরি করে সেখানে লোভনীয়, আকর্ষণীয় ইত্যাদি কিছু দেখিয়ে ক্লিক করতে বলে। আর ক্লিক করলেই আপনার ডিভাইসের সমস্ত অ্যাক্সেস গুলো চলে যায় হ্যাকারের হাতে।
এই প্রক্রিয়ায় তথ্য গুলো হাতিয়ে নেওয়া বা আপনার ডিভাইস কে হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়াই হলো ফিশিং অ্যাটাক। তাই অজানা যে কোনো লিংকে ক্লিক করে নিজের ইনফরমেশন গুলো দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনার সতর্কতাই আপনাকে সাইবার নিরাপত্তা দিবে। আর যদি কোনো লিংকে ক্লিক করতে চান তাহলে তার সত্যতা যাচাই করে নিন।
৫. ম্যালওয়্যার ও অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করাঃহ্যাকাররা কোনো ডিভাইস থেকে তথ্য চুরি করার জন্যে সেখানে বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস ইনজেক্ট করে থাকে। আর এই সব কিছু থেকে আপনি বাঁচতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ম্যালওয়ার বা অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার। এই গুলো আপনাকে
ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিবে এবং তথ্য চুরি হওয়া থেকে রক্ষা করবে। ভেরিফাইড কোনো জায়গা ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন না। এর সাথে কোনো ধরণের ক্র্যাশিং সফটওয়্যার গুলোও ব্যবহার করবেন না। এর ফলে আপনি আপনার তথ্য গুলো কে হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
৬. ডেটা গুলো ব্যাক আপে রাখাঃডাটা ব্যাকআপ করে রাখা হ্যাকিং থেকে বাঁচার কোনো উপায় না হলেও আপনার ডেটা গুলো আপনি পুনরায় ফেরত পেতে পারেন এর মাধ্যমে। আপনার যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হ্যাকারের হাতে চলে যায় তবে তা ফিরিয়ে আনা অসম্ভব ব্যাপার হয়ে থাকে। আর ডেটা গুলো যদি ব্যাক আপ দিয়ে রাখেন তাহলে আপনার প্রয়োজনে আবার সকল ডেটা গুলো পুনরায় ফেরত পাবেন।
৭. ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকাঃআপনি অজানা কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন না। কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার আগে ঐ সাইটের ইউ,আর,এল সম্পর্কে জেনে নিন। ইউ,আরএলে এ তালার মত চিহ্ন রয়েছে কি না তা দেখে নিন। কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করার ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করতে পারেন।
৮. অনলাইনে অতিরিক্ত তথ্য না দেওয়াঃঅনেক সময় কোনো ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে সেখানে আমাদের বিভিন্ন ইনফরমেশন জমা করতে হয়। তাই এই সকল জায়গা গুলোতে যখন তথ্য জমা দিবেন তখন খুবই সতর্ক থাকবেন। যেটুকু তথ্য প্রয়োজন তার বাইরে অতিরিক্ত তথ্য জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন৷
কারণ এই ভাবে যদি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য গুলো বেশী করে ব্যবহার করেন তাহলে তা অন্য কোনো থার্ড পার্টির কাছে চলে যাবে। তাই এই ব্যাপার গুলো থেকে সতর্ক থাকুন।
৯. ক্লাউডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা না রাখাঃক্লাউডে এখন অনেকেই বিভিন্ন তথ্য জমা করে রাখেন। তাই আপনি যদি এখানে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জমা রাখেন এবং কোনো হ্যাকার যদি এখানে প্রবেশ করে যায় তাহলে আপনার তথ্য গুলো চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভবনায় থাকে। আর তাই এই ব্যাপার গুলো নিয়ে সতর্ক থাকুন।
১০. অ্যাপ আপনার ডিভাইসের কোন তথ্য গুলো দেখছে তা জানা
আপনার ফোনে অনেক গুলো অ্যাপ রয়েছে। এই গুলো বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করে থাকে। তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে কোন অ্যাপ গুলো আপনার ডিভাইসের কোন তথ্য গুলো দেখছে। থার্ড পার্টি অ্যাপ গুলো সাধারণত বিভিন্ন তথ্য দেখে থাকে। তাই এই সকল বিষয় গুলো খোঁজ খবর নিবেন ও সচেতন থাকবেন।
সাইবার ঝুঁকি কি জেনে নিন
সাইবার ঝুঁকি মানে হচ্ছে এর মাধ্যমে আপনি আপনার অনলাইন তথ্য গুলো হারাতে পারেন। যা আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যর্থতার কারণে আমাদের নানা ধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হারিয়ে থাকি। খারাপ ভাবে যে সাইবার ঝুঁকি গুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে তা সাধারণত সাইবার অপরাধের দিকে পরিচালিত করে। এর ফলে যার তথ্য গুলো চুরি হয়ে যায় তার অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।
কেন সাইবার নিরাপত্তা প্রয়োজন
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও প্রযুক্তির প্রতি আপনার সচেতনতাই হলো সাইবার সিকিউরিটি। সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমে আমরা আমাদের কম্পিউটার, ব্যক্তিগত তথ্য ও বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস গুলো কে হ্যাকিং ও শত্রু পক্ষের আক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে পারি। এখনকার সময়ে সারা বিশ্বের মানুষই ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত। এই ইন্টারনেট এর মাধ্যমে মানুষ জন
খুব সহজেই একে অপরের সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। এর ফলে এখানে তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার অনেক ভয় থাকে। এমনকি অনেক তথ্য চুরি হয়েও থাকে। তাই এই তথ্য গুলো যাতে করে চুরি না হয় তার নিরাপত্তা রক্ষার্থে আপনার সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে। আপনার অনলাইনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো সংরক্ষণ করার জন্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করার উপায় কি
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করতে আপনি বেশ কিছু সচেতনতা অবলম্বন করতে পারেন। এই গুলো নিম্নে দেওয়া হলো:
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন।
- ব্যবহার করা সফটওয়্যার গুলো আপডেট করে রাখুন।
- সন্দেহ জনক কোনো ইমেইল বা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
- কোনো পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
উপরোক্ত ব্যবস্থা গুলো গ্রহণ করার ফলে আপনি আপনার সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে পারবেন। এতে করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো চুরি হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন।
অনলাইন নিরাপত্তা কি জানুন
অনলাইন নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনি আপনার অনলাইন তথ্য, সফটওয়্যার ও নিজের ব্যবহার করা ইন্টারনেটকে হ্যাকারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। আমরা এখনকার সময়ে আমাদের সকল তথ্য গুলো অনলাইনে জমা করে রাখি, এই তথ্য গুলো চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তারপর কোনো হ্যাকার আমাদের এই ব্যক্তিগত তথ্য গুলোকে
হাতিয়ে নিয়ে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। টাকা পয়সা সহ আরো অনেক কিছু তারা দাবি করে থাকে। এর ফলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আর তাই সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি সঠিক ভাবে সাইবার নিরাপত্তার আওতাধীন থাকেন তাহলে আপনার তথ্য গুলো সুরক্ষিত থাকবে।
সাইবার বুলিং কি বিস্তারিত জেনে নিন
বুলিং তো আমরা সবাই কম বেশী জানি। আর এই বুলিং করার কাজটি যখন করা হয়ে থাকে অনলাইনে, বিশেষ করে কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে তাহলে তাকে বলা হয় সাইবার বুলিং। সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে কারো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে একটা
বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করা কিংবা কোনো অবমাননাকর ছবি পোস্ট করা। মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোনো হুমকি এর মতো কোনো মেসেজ করা। অন্যের ছদ্মবেশ ধারণ করে তার মত হয়ে কাউকে মেসেজ করা ইত্যাদি গুলোই সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। যে সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে থাকে
তার জন্যে এই বিষয়টি খুবই বিপজ্জনক। সে মানসিক ভাবে অনেক ভেঙে পড়ে। তাই সাইবার বুলিং সম্পর্কে আমাদের সকালেরই সচেতন হওয়া জরুরী।
সাইবার অপরাধে আমাদের করণীয়
আপনি যদি সাইবার অপরাধের শিকার হোন তাহলে প্রথমেই আপনাকে এই বিষয়ে থানায় এজহার দায়ের করার মাধ্যমে মামলা করে দিবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে সকল প্রমাণ গুলো ভালোভাবে কালেক্ট করে নেওয়া। স্কিনশট বা এই গুলো ভিডিও করে রাখবেন। তারপর থানায় গিয়ে তার বিরুদ্ধে
মামলা করে দিবেন। তাহলে আইনি ভাবে আপনি সাহায্য পাবেন এবং আইন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিবে। এই ক্ষেত্রে আপনার তথ্য গুলো সুরক্ষিত করতে তারা ভুমিকা রাখবে।
সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে গ্রহণীয় পদক্ষেপ
অনেকেই সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে থাকেন। বিশেষ করে যারা যুবক বা যুবতী রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো বেশী পরিমাণে হয়ে থাকে। তবে আপনার সাথে এই রকম কিছু ঘটে থাকলে আপনি শক্ত হবেন এবং ভেঙে পড়বেন না। এই ধরণের কিছু যদি আপনার সাথে ঘটে থাকে তাহলে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করুন।ৎ
- সাইবার বুলিং এর শিকার হলে ভয় পাবেন না। ঠান্ডা মাথায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
- আপনি সাইবার বুলিং শিকার হয়েছেন তা সম্পর্কে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করুন।
- প্রথমত, আপনি যার দ্বারা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তাকে সকল কিছু বলতে পারেন। আপনি না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে বলাতে পারেন।
- এই বুলিং এর শিকার বেশী হয়ে থাকে মহিলারা। তাই আপনার আপনজনের সাথে বিষয়টি নিয়ে শেয়ার করুন।
কিভাবে অনলাইনে তথ্য চুরি হয়
অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস সম্পর্কে আশা করি ইতিমধ্যে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবার জানবেন কিভাবে অনলাইনে তথ্য চুরি করা হয়। আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো অনলাইনে বিভিন্নভাবে চুরি হতে পারে। হ্যাকাররা অনেক লোভনীয় অফার প্রদান করে লিংক দিয়ে থাকে।
আর এই লিংকে ক্লিক করার ফলেই সকল অ্যাক্সেস চলে যায় হ্যাকারের হাতে। আবার লিংক দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে বলা হয়ে থাকে। এই গুলোর মাধ্যমে চুরি হতে পারে তথ্য। এই রকম আরো বিভিন্ন ভাবে একজন হ্যাকার আপনার তথ্য গুলো হাতিয়ে নিতে পারে। তাই এই বিষয় গুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। তবে আপনার যদি এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা কোনো মন্তব্য করা থাকে তাহলে এই পোষ্টের নিচের কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url