ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস

ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। যারা ব্লগ ওয়েবসাইট চালিয়ে থাকেন তাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা অনেক প্রয়োজন। তবে SEO সেটিংস  সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

ব্লগ-সাইটে-SEO-সেটিংস-কেন-করব

SEO সেটিংস বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা ইনকাম করতে চান ব্লগ লিখার মাধ্যমে তারা এই বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন। তাই ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্র : ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস

ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস

বেশীর ভাগ ব্লগাররাই সাধারণত ব্লগার ডট কমে ব্লগ লিখে থাকেন। এটি হলো একটি ফ্রী মাধ্যম। এখানে হোস্টিং ও ডোমেন নেম এর সেবা একদম ফ্রী তে প্রদান করা হয়ে থাকে। যার ফলে এটি নতুন ব্লগারদের জন্যে বেস্ট একটি প্ল্যাটফর্ম। আবার যারা ডোমেইন কিনতে চায় তারা চাইলে এখানে তাদের ঐ ক্রয় করা ডোমেইন যোগ করে নিতে পারেন।

অনেকেই ব্লগিং করে থাকে শুধু মাত্র তাদের ইনকাম জেনারেট করার জন্যে। খুব অল্প সংখ্যক ব্লগার রয়েছে যারা শুধু মাত্র নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করার জন্যে ব্লগ করে থাকে। যেহেতু অধিকাংশই ইনকাম করার জন্যে ব্লগ লিখে থাকেন তাই তাদের জন্যে এই SEO বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ব্লগ ওয়েবসাইট যদি ভালো ভাবে SEO না হয় তবে

আপনার সাইট র‍্যাংক করবে না এবং ইনকামও আসবে না। আপনি যদি ব্লগ ওয়েবসাইট খুলে থাকেন তাহলে সেখানে কিছু সেটিংস আপনাকে Enable করতে হবে। যা আপনার SEO করার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রগ ওয়েবসাইট খোলার পর আপনি যখন সেটিংস অপশনে প্রবেশ করবেন তখন সেখানে অনেক গুলো অপশন দেখতে পাবেন।

সেখান থেকে ভিজিবল টু সার্চ ইঞ্জিন Enable করে নিবেন। এই সেটিংস দিয়ে চালু না করলে আপনার পোস্টগুলো গুগলে শো করবে না। এরপর আপনাকে Enable সার্চ ডেসক্রিপশন অন করতে হবে। আপনার রোবোট ডট txt Enable কাস্টম থেকে অন করে দিতে হবে। এরপর কাস্টম রোবোট ডট txt তে ক্লিক করে User agent এ disallow:/search থেকে catagory থেকে

lebel থেকে tag allow করে দিতে হবে। আবার সাইট ম্যাপে আপনার সাইটের লিংক যোগ করে দিতে হবে। তারপর কাস্টম রোবট হেডার ট্যাগ অন করতে হবে। এরপর হোম পেজ ট্যাগে All ও নেওডিপি অন করতে হবে এবং আর্কাইভ ও সার্চ পেজ ট্যাগে নো-ইনডেক্স ও noodp অন করতে হবে। এবং পোস্ট ও পেজ ট্যাগে All ও noodp অন করে দিবেন।

তাহলে সেটিংস এর কাজটি করা শেষ হয়ে যাবে। আবার গুগল সার্চ কনসোল এর মাধ্যমে আপনার ব্লগটি গুগলে শো হয়। যার মাধ্যমে আপনার ব্লগে ট্র্যাফিক জেনারেট হয়ে থাকে ও বিভিন্ন ধরণের error সলভ করে থাকে। গুগল সার্চ কনসোলে আপনার ডোমেইন নাম যদি থেকে থাকে তাহলে তা পেস্ট করে দিবেন এবং এর ফলে আপনার

ব্লগটি গুগল সার্চ কনসোল কতৃক ভেরিফাই হয়ে যাবে। আপনার ব্লগ সাইটে যদি আপনি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে চান তবে আপনাকে বেশ কয়েকটা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এই নিয়ম গুলো নিম্নে ক্রমান্বয়ে উল্লেখ করা হলো।

১. ব্লগ টাইটেল দেওয়াঃকোনো ব্লগের সাইট কিংবা ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় আমরা গুগলে উপরের দিকে যে লেখাগুলো দেখে থাকি তাই হলো টাইটেল। যেকোন ব্লগ লেখার সময় ব্লগের টাইটেল দেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে কোন টাইটেলের উপর ব্লগ লিখতে পারেন। আপনি যদি blogger.com ব্লগ লিখে থাকেন তাহলে সেখানে সেটিংসে গিয়ে টাইটেল লেখাতে ক্লিক করে টাইটেল যোগ করে নিতে পারেন।

২. ব্লগে মেটা ডেসক্রিপশন দেওয়াঃআপনার ব্লগটি যেহেতু অনেক জায়গায় শেয়ার করার প্রয়োজন পড়ে তাই এই মেটা ডিসক্রিপশনের দেওয়ার প্রয়োজনও রয়েছে অনেক। ডেসক্রিপশন দেওয়ার পরে আপনার ব্লগে টাইটেলের পাশাপাশি ডেসক্রিপশনও গুগলে শো করবে। এর ফলে আপনার ব্লগে নতুন নতুন ট্রাফিক আসবে।

৩. পেইজে সূচিপত্র যোগ করাঃআপনি যে কিওয়ার্ড এর উপরে পোস্টটি লিখেছেন এবং পোস্টের মধ্যে যে হেডিং ট্যাগগুলো রয়েছে সেগুলোকে মেটা ডেসক্রিপশনের নিচে লিস্ট আকারে তৈরি করে লিংক করে দেওয়া। যেন কোন ভিজিটর তার ইচ্ছামত আপনার পোস্টটি পড়তে যে কোন লিংকে ক্লিক করলে যেন সে স্থানে নিয়ে চলে যায়। এটি হলো পেজ সূচিপত্র। আর SEO করার ক্ষেত্রে পেজ সূচিপত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পোষ্টের মধ্যে আরো পড়ুন সেকশন যোগ করাঃ আপনার লেখা পোষ্টের মধ্যে সেই রিলেটেড কিছু পোস্ট আরো পড়ুন সেকশনে যোগ করা। এতে করে SEO স্কোর যেমন বাড়বে তেমনি ভাবে ভিজিটর যখন ওই পোস্টটি খুঁজে পাবে তখন পোস্টটি পড়তে পড়তে আপনার পোস্টের মধ্যে দেওয়া অন্যান্য লিঙ্কের মধ্যে প্রবেশ করবে। ফলে ভিজিটর আপনার সাইটের মধ্যে অনেকক্ষণ যাবৎ থাকবে।

৪. ব্লগ পোস্টে URL এর গঠনঃএটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর কারণ লিংকের মাধ্যমে একজন ভিজিটর যেকোনো সাইটে পৌঁছে যেতে পারে। আপনি যখন কোনো পোস্ট লিখবেন তখন সেই পোস্টের মূল দুটি শব্দ বা তিনটি শব্দ ব্যবহার করে পার্মালিংক লিখে নিবেন। URL এর ভিতরে কোনো ধরণের

কমা, সেমিকোলন ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না। হাইফেন ব্যবহার করে শব্দ গুলো কে পৃথক করবেন। আর শব্দ গুলো ইংরেজিতে লিখবেন। এটি permalink থেকেই পেয়ে যাবেন। তবে পার্মালিংকে একটি শব্দ ব্যবহার করলে ভালো হয়।

৫. সার্চ ডেসক্রিপশন লেখাঃগুগলে টাইটেল লিখে সার্চ দেওয়ার পর টাইটেলের নিচে ডেসক্রিপশন পাওয়া যায়। এটিই সার্চ ডেসক্রিপশন। এটি আপনার ব্লগ কে সংক্ষিপ্ত ভাবে উপস্থাপন করে থাকে যার মাধ্যমে ভিজিটর কে আকৃষ্ট করা হয় এবং এটি SEO এর জন্য অধিক কার্যকরী।

আপনি ডান দিকে সেটিওস থেকে সার্চ ডেসক্রিপশন খুঁজে সেখানে ডেসক্রিপশন লিখে দিতে পারেন। ১৫০ বর্ণের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আকারে এটি উপস্থাপন করবেন।

৬. আর্টিকেলে ইমেইজ অপটিমাইজেশনঃআপনার ব্লগে যখন কোনো ইমেইজ যোগ করেন তখন সেখানে ইমেইজের ভিতরে অল্টারটে টেক্স ও টাইটেল টেক্সট অপশন থাকে সেখানে দুই জায়গাতেই একই কিওয়ার্ড যোগ করতে হবে। এই লেখা গুলো বা ভালো ইমেজ গুলো আপনার ব্লগ কে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসে। তাই ইমেজের অপটিমাইজেশন খুব ভালোভাবে করতে হবে।

৭. আর্টিকেলে লেভেল যোগ করাঃআপনার আর্টিকেলের ডান পাশে সেটিংসে প্রবেশ করে এই লেভেল অপশনটি খুজে পাবেন। আপনার ব্লগ রিলেটেড একটা লেভেল অর্থাৎ ক্যাটাগরি সেখানে লিখে যোগ করে দিবেন। এরপর সেভ বাটনে ক্লিক করে সেভ করে নিবেন। এটি হলো একটি SEO ফ্রেন্ডলি সেটিংস।

SEO মানে কি কেন SEO করবেন

ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন। পোস্টে SEO করার মাধ্যমে আপনি আপনার পোস্ট গুলোকে র‍্যাংকিং এ নিয়ে আসতে পারবেন। এর ফলে আপনার সাইটে অনেক ট্রাফিক এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো SEO করা।

আপনার সাইটে যদি ভালো ভাবে এসইও করা না হয়ে থাকে তবে আপনার সাইটে ভালো মানের কোনো ট্রাফিক আসবে না। যার ফলে আপনার ইনকামও তেমন একটা হবে না। তাই ভালো ইনকাম করার জন্যে ও নিজের সাইট কে র‍্যাংকিং এ নিয়ে আসতে এস ই ও করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।

কেন SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন

অনেকেই ব্লগিং করে থাকেন। তাই তাদের জন্যে এসইও বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা তাদের অনেকেই শুধু মাত্র ইনকামের আশায় ব্লগ লিখে থাকেন। তার জন্যে আপনাদের অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হলো এমন সব আর্টিকেল যে গুলো লিখার ফলে আর্টিকেল গুলো র‍্যাংকিং এ চলে আসে।

আপনি যদি আপনার আর্টিকেল বা লেখা ব্লগ গুলো কে র‍্যাংকিং এ নিয়ে আসতে না পারেন তাহলে আপনার সাইটে ট্রাফিক আসবে না। যার ফলে আপনার ইনকাম ও তেমন একটা হবে না। আপনি যদি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে থাকেন তাহলে আপনার সাইটে ভালো মানের ট্রাফিক চলে আসবে। যার ফলে আপনার ভালো পরিমাণের ইনকামও আসতে থাকবে।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখা হলে এই আর্টিকেল গুলো গুগল সার্চ বক্সে অনেক দর্শকের সামনে দেখাবে। তখন আপনার আর্টিকেল গুলো যদি ভালো মানের হয়ে থাকে ও উন্নত কন্টেন্ট যুক্ত থাকে তবে এখানে দর্শক প্রতিনিয়ত ভিজিট করবে। তাই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

নতুন ব্লগারদের জন্য কিছু ওয়েবসাইট

ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস সম্পর্কে আশা করি আপনি ইতিমধ্যে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। অনেক নতুন ব্লগার রয়েছেন যারা ব্লগ লিখার জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম পছন্দ করতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগে থাকেন। তাই তাদের জন্যে আমার সাজেস্ট করা কিছু সাইট সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলো-

১. ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম ওয়েবসাইটঃএই সাইটে আপনি খুব সহজেই ফ্রী তে ব্লগ করা শুরু করতে পারবেন। কিন্তু প্রথমে ডোমেইন ক্রয় করতে ব্লগার ওয়েবসাইটের চাইতে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এবং ইনকাম শুরু করতেও অনেক সময় লাগে। তবে যখন ইনকাম শুরু হয়ে যাবে তখন এখান থেকে আপনি খুব ভালো মানের একটা ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

২. গুগল ব্লগার ওয়েবসাইটঃহোস্টিং বিল নিয়ে কোনো ধরণের চিন্তা করতে না চাইলে এবং অল্প খরচেই ইনকাম করতে চাইলে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ব্লগ লিখে অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম শুরু করা যায়।

৩. মিডিয়াম ডট কম ওয়েবসাইটঃব্লগিং প্ল্যাটফর্মে এর বেশ সুনাম রয়েছে। এখানে আপনি ব্লগিং শুরু করে কোনো ধরণের ঝামেলা ছাড়া ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। তবে যারা ব্লগিং এ নতুন রয়েছেন তাদের জন্যে এই সাইটটি উপযুক্ত নয়।

৪. উইক্স ডট কম ওয়েবসাইটঃআপনার জ্ঞান যদি হয়ে থাকে জিরো এবং আপনি একটি ইউনিক ওয়েবসাইট চান তাহলে এই সাইটটি আপনার জন্য হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র কয়েক মিনিট খরচ করে এখান থেকে আপনি ভালো মানের একটা সাইট বানাতে সক্ষম হবেন।

৫. স্কয়ারস্পেস ওয়েবসাইটঃআপনার ব্লগে ই- কমার্স ব্যবস্থা রাখতে চাইলে এই সাইটটি বেশ ভালো হবে। এটি আপনার ব্লগে যে কোনো প্রোডাক্ট সেল থেকে শুরু করে ডোনেশন রিসিভ পর্যন্ত বেস্ট সলিউশন প্রদান করে থাকে। এখানে আপনি কোনো ধরণের ক্রেডিট ছাড়া ১৪ দিনের ফ্রী সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন।

ব্লগ কি এবং ব্লগার কাদের বলা হয়

ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস সম্পর্কে ইতোমধ্যে আপনার সম্মুখে আলোচনা করা হয়েছে। এবার আমরা আলোচনা করব ব্লগিং কি? এবং কাদেরকে ব্লগার বলা হয়। পূর্বের একটি আর্টিকেলে ব্লগ সম্পর্কে এবং ব্লক থেকে কিভাবে ইনকাম জেনারেট করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে তবে আপনার সুবিধার্থে

এই আর্টিকেলে আবারও সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো যেন আপনি তা সহজে বুঝতে পারেন। তবে পূর্বের ব্লগের পুরো পোস্টটির বিস্তারিত পড়ে জেনে নিতে পারেন। ওয়েবব্লগের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ব্লগ। যিনি বিভিন্ন ধরণের ব্লগ লিখে পোস্ট করে থাকেন তাকে ব্লগার বলা হয়ে থাকে। এটি হলো এক ধরণের ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিগত পত্রিকা।

ব্লগাররা তাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট লিখে থাকেন বিভিন্ন ধরণের বিষয়ের উপরে। বর্তমান সময়ে ব্লগ ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় মাধ্যমে হয়ে উঠেছে।

ব্লগিং করে আয় করার উপায়

আপনি যদি ব্লগিং করে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্য বহুল পোস্ট লিখে সঠিক ভাবে এসিও করে গুগলে র‌্যাঙ্ক করিয়ে ক্লিকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটিকে এডসেন্স অ্যাপ্রভাল অর্থাৎ মনিটাইজ করে নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
ব্লগিং-করে-আয়-করার-উপায়
তাই যখন বেশি বেশি ক্লিক আসতে থাকবে তখন google এর কাছে অ্যাডসেন্সের আবেদন করলেই তারা আপনার সকল তথ্য যাচাই করে এ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রভাল দিয়ে দিবে। এর ফলে আপনি আপনার কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। এবং সেখান থেকে আপনার ইনকাম আসবে।

ব্লগিং এর জনক কে

Links.net এ প্রথম ব্লগ তৈরি করেছিলেন জাস্টিন হল। তাই তাকেই ব্লগিং এর জনক বলা হয়ে থাকে। HubSpot এর মতে তিনিই প্রথম ব্লগ লিখেছিলেন যেখানে মূলত তিনি বিভিন্ন অনলাইন লিংক থেকে এইচটিএমএল বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। অবশ্য তখনও ব্লগ নামের কোনো কিছুই তৈরি হয়নি। তাই তিনি সে পেজ কে ব্যক্তিগত হোম পেজ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন

আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর কিছু ধারণা রাখতে হবে। আপনি যখন ব্লগ লিখবেন তখন সে বিষয়ের উপরে আপনাকে কিছু কনসেপ্ট ধারণ করতে হবে। আপনি প্রথমে একটি বিষয়ে কে নির্ধারণ করে নিবেন ব্লগ লেখার জন্যে। পরে সে বিষয়ের উপরে আপনি বিভিন্ন ধরণের তথ্য খোঁজাখুঁজি করতে থাকবেন।

গুগলের বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট থেকে, বা বিভিন্ন ভিডিও থেকে অথবা কোন পত্রিকা থেকে বিষয়টির উপর খুব ভালোভাবে রিসার্চ করবেন। তথ্য গুলো সংগ্রহ করে সে বিষয়ের উপর নিজের মতো করে অর্গানিক ভাবে একটি ব্লগ লিখবেন।

SEO না করলে কি হবে

SEO মানে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। আপনি যদি আপনার কোনো সাইট, চ্যানেল কে এসইও করে থাকেন তবে সে সাইট ভালো একটা র‍্যাংকিং এ পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ এর ফলে আপনার সাইটে অর্গানিক ভিজিটর সংখ্যা বেড়ে যাবে। আর আপনার সাইটে যত বেশী সংখ্যক ভিজিটর বাড়বে আপনি তত ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

তাই ইনকাম বৃদ্ধি ও অর্গানিক সংখ্যা বাড়ানোর জন্যে এসইও করাটা খুবই জরুরী। আর যদি এসিও না করা থাকে তাহলে আপনার পোস্টগুলোকে গুগল কখনোই ‍র‌্যাঙ্ক দিবে না ফলে আপনি ভিজিটরও পাবেন না আপনার ইনকাম হবে এবং আপনার সাইট সব সময় ডাউন হয়ে থাকে। তাহলে এখন আপনি নিজে নিজেই ভাবুন SEO না করলে কি হবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ব্লগ সাইটের জন্যে সেরা SEO সেটিংস বিষয়টি কে ঘিরে। আশা করি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। কোনো অসম্পূর্ণ তথ্য থাকলে আপনার মন্তব্য সে বিষয়ে জানাতে পারেন পাশাপাশি আপনার বন্ধুর সাথে এটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url