চাকরির পাশাপশি টাকা ইনকামের দারুন ও সহজ আইডিয়া
আপনি কি চাকরির পাশাপাশি টাকা ইনকামের সহজ আইডিয়াগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কারণ চাকরি করেও তার পাশাপাশি কিভাবে সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয় নিয়ে আমরা
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি একজন চাকরিজীবি হয়ে থাকেন এবং তার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি স্ক্রোল না করে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পেজ সুচিপত্রঃ
- চাকুরির পাশাপাশি টাকা ইনকামের আইডিয়া
- চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকামের উপায়
- চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে বিভিন্ন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন
- চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে আয় করা
- ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা কোনগুলো জেনে নিন
- লেখকের শেষ কথা
চাকুরির পাশাপাশি টাকা ইনকামের আইডিয়া
বর্তমানে আধুনিক এই যুগে মানুষ সর্বদা টাকার পেছনে ছুটে চলেছে। কোথায় গেলে টাকা পাওয়া যাবে, কোন কাজ করলে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে, কিভাবে Huge পরিমান টাকা রোজগার করা যাবে তা নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। আর চাকরি করা, যে কোন ছোট বড় ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং করা, উদ্দ্যেক্তা হওয়া অথবা আর অন্য যেই কাজই মানুষ করুক না কেন তার মুল লক্ষ ও উদ্দেশ্য হল অর্থ উপার্জন।
আর অর্থ উপার্জন করেই আমরা আমাদের পরিবারবর্গ অর্থাৎ সংসার চালিয়ে থাকি। বর্তমানে অনেক মানুষ চাকরির সঙ্গে জড়িত। কেউ সরকারি কেউ বেসরকারি কেউ এনজিও আবার কেউ কেউ বিভিন্ন কোম্পানির চাকরিতে জড়িত। যারা উচু লেভেলের কর্মচারী তারা মাস শেষে বেশ ভালোই স্যালারি পেয়ে থাকে এবং তাদের সংসারটাকে খুব ভালোভাবে চালিয়ে নিতে পারেন। তবে যারা নিম্ন ও মধ্য লেভেলের
আরো পড়ুনঃঅনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সেরা সাইবার সিকিউরিটি টিপস
কর্মচারী তাদের পক্ষে এই স্বল্প আয়ের মাধ্যমে পুরো সংসারটা চালানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আর বর্তমানে দেশে দ্রব্য পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তা বেশ আরো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই অনেক মানুষই চাকরির পাশাপাশি বাড়তে আয়ের অর্থাৎ কিভাবে চাকরি করেও তার পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করা যায় সেই আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চাই। তবে আপনিও যদি চাকরির পাশাপাশি
বাড়তি টাকা ইনকামের আইডিয়াগুলো জানতে চান তাহলে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্য এবং আর্টিকেলটি স্ক্রল না করে খুব ভালোভাবে পড়লে টাকা ইনকামের আইডিয়া গুলো জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করলে আশা করি আপনিও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চাকরির পাশাপাশি টাকা ইনকামের অনলাইন ও অফলাইন বেশ কিছু আইডিয়া রয়েছে। তবে অনলাইন
যে আইডিয়াগুলো রয়েছে যেমন ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ করার মাধ্যমে আয়, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং, টিকটক, ইমেইল মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, ড্রপ শিপিং ইত্যাদি এগুলোকে একত্রে ফ্রিল্যান্সিং বলে। আর এই বিষয়গুলো সম্পর্কে হয়তো ইতোপূর্বে আপনি যে কোন মাধ্যম থেকে বা কারো মুখ থেকে অথবা অন্য কোন উপায়ে জেনেছেন। তবুও আমি
আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে টাকা ইনকামের কিছু প্যাসিভ ধারণা দিতে চাই যে অনুযায়ী কাজ করলে আপনি চাকরি করেও তার পাশাপাশি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন ইনশা-আল্লাহ। তবে টাকা ইনকামের অনলাইন ও অফলাইন আইডিয়া সম্পর্কে নিচের অংশগুলো থেকে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক।
চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকামের উপায়
আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই তাদের ফ্রিল্যান্সিং করার আগে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং মানে কি এটা জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মানে হল মুক্ত পেশা। মনে করুন, বর্তমানে আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং আপনি বর্তমানে যেই প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে চাকরিটি করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের একজন মালিক রয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠানের কিছু রুলস রয়েছে যে রুলস গুলো মেনে আপনাকে
কাজ করতে হবে অন্যথায় রুলস না মানার কারণে আপনাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। আর ফ্রিল্যান্সিং মানে হল আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সেক্টরে বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনি নিজেই হবেন। উদাহরণস্বরূপ মনে করুন, আপনার একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট আছে সেখানে আপনি প্রতিদিন বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে জনগণের সেবা করার মাধ্যমে এবং অনেক ধরনের
প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা পেয়ে থাকেন। সেখানে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সেখানে কর্মচারী রেখেও কাজ করে নিয়ে তাদেরকে টাকা দিতে পারেন। এভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরো যে সকল সেক্টরগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে আপনি যদি কাজ করেন তাহলে তার মালিক হবেন একমাত্র আপনি এবং আপনার নিজের ইচ্ছামত সেখানে কাজ করতে
পারবেন। তবে শর্ত হল ফেসবুকে ইউটিউবে ইনকাম করতে হলে যেমন মনিটাইজেশন পেতে হয় ঠিক তেমনিভাবে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন পেতে হয় তাছাড়া ইনকাম করা সম্ভব নয়। কিন্তু কাজ করলে সফলতা আসবেই ইনশা-আল্লাহ। আর বর্তমান বিশ্বে মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে এমনভাবে ঝুঁকে পড়েছে যেন তাদের স্বপ্নপূরণের জন্য ফ্রিল্যান্সিংই
একমাত্র উপায়। কারণ বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি ডিমান্ডেবল সেক্টর বিশ্বাস করুন যেখান থেকে শুধু টাকা উপার্জন করা যায় বললে ভুল হবে বরং হিউজ পরিমাণ টাকা উপার্জন করা যায় যা কোম্পানির চাকরিতো দুরেই থাক বরং সরকারি চাকরিকেও হার মানায়। তবে চাকরির পাশাপাশি টাকা ইনকামের অনলাইন আইডিয়া গুলো সম্পর্কে আমি
উপরের অংশে আলোচনা করেছি কিন্তু আপনার সুবিধার্থে আমি আবারো উল্লেখ করছি যেন তা আপনি সহজেই বুঝতে পারেন এবং যেগুলো থেকে আপনি চাকরির পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন যেমন-
- ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করার মাধ্যমে আয়
- এবং ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে সেই আর্টিকেল অন্যের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে আয়
- খুব সহজেই ফেসবুক মনিটাইজেশন করে ফেসবুক থেকে আয়
- ইউটিউব মার্কেটিং করে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আই
- ফাইভারে কাজ শিখে সেখানে কাজ করার মাধ্যমে আয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- সিপিএ মার্কেটিং করে আয়
- ইমেইল মার্কেটিং করে আয়
- ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করে আয়
এই বিষয়গুলোকে একত্রে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এখন আপনার মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আমি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এবং কোথায় গিয়ে শিখলে আমার জন্য সবচাইতে ভালো হবে তাই না? দেখুন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে আমাদের এই যোগাযোগ পেইজে যোগাযোগ করার মাধ্যমে এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শটি নিতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন আইটি সেন্টার থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখছেন
কিন্তু সেখান থেকে কোন অর্থ উপার্জন করতে পারছেন না। এর মূল কারণ কি জানেন এর একমাত্র কারণ হলো সেখানে ফ্রিল্যান্সিং এর নামে শুধু লোকেদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় কিন্তু টাকা উপার্জনের কোন সঠিক গাইডলাইন তারা দেখায় না যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং শিখেও অনেকেই টাকা উপার্জন করতে পারেন না। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য সঠিক গাইডলাইন পেতে
চান তাহলে আমাদের এই যোগাযোগ পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন যেখানে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে আপনার জন্য থাকবে একটি দুইটি নয় বরং ১৮ উপায়ে উপার্জন করার সুযোগ এবং দীর্ঘ ১২ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও গুগল সার্টিফায়েডযুক্ত কোর্স প্রশিক্ষকের দ্বারা প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ। যার রয়েছে এক বছরে ৩০ হাজার ডলার ইনকাম করা অভিজ্ঞতা আশা করি আপনি আমার কথাগুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে বিভিন্ন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন
অনেকেই জানতে চাই যে, চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করা আদৌ কি সম্ভব, আর যদি ব্যবসা করা যায় তাহলে স্বল্প পুঁজিতে কোন ধরনের ব্যবসা করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তবে আপনিও যদি একই কথাই ভেবে থাকেন তাহলে উত্তরে আমি বলব হ্যাঁ, চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করা যায় এবং তা মাত্র অল্প টাকা বিনিয়োগে ব্যবসা করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এখন একটা চিন্তার বিষয় হল
আমি তো চাকরি করি তাহলে ব্যবসা করব কোন সময় তাই না। আসলে এই বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। তবে এই ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই। বর্তমানে সরকারি চাকরির সময়সীমা হচ্ছে সেখান থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এবং অন্যান্য বেসরকারি চাকরি এনজিও চাকরি ও বিভিন্ন কোম্পানির চাকরির ক্ষেত্রেও একটি নির্ধারিত সময়সীমা রয়েছে চাকরির কাজ শেষে
বাসায় ফিরে আপনি আপনার ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে পারবেন। তবে যেহেতু আপনি দিনে চাকরি করেন তাই দিনের ব্যবসা করতে পারবেন না আপনাকে রাতের ব্যবসা করার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার শারীরিক পরিশ্রম একটু বেশি হলেও সারারাত জেগে নেই মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যবসা করেই আপনি ইনকাম অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর রাতের ব্যবসার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট বা মাঝারি ব্যবসার রয়েছে যে ব্যবসা গুলো কয়েক ঘন্টা ব্যবসা করে অতীত পরিমাণে বিক্রি করা যায় এবং অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক রাতের ব্যবসা আইডিয়া ব্যাপারে।
ফাস্ট ফুডের ব্যবসা
আজকাল বিভিন্ন ফাস্টফুড প্রতিটি মানুষের কাছে যেন একটি প্রিয় খাবার হয়ে উঠেছে। রাস্তার পাশে কিংবা বাজারে অথবা যেখানে মানুষের সমাগম বেশি সেখানে আজকাল বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার অনেকেই বিক্রি করছেন এবং অনেক লাভবান হচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন- ঝালমাড়ি, চটপটি, ফুচকা, হালিম, বার্গার, চাইনিজ, বিভিন্ন ধরনের চপ ইত্যাদি আরো অনেক খাবার আর
অল্প পুঁজিতে এই খাবারগুলোর ব্যবসা করা সম্ভব। যেহেতু এই খাবারগুলো রাতেই মানুষ বেশি খেয়ে থাকে তাই চাকরির পাশাপাশি আপনি চাইলে এই ব্যবসাটিও করতে পারেন।ব্যবসাটি অনেকের কাছে তুচ্ছ মনে হলেও বিশ্বাস করুন আজকাল মানুষ এই ফাস্টফুড বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে।
সেদ্ধ ডিমের ব্যবস্থা
সেদ্ধ ডিম যেহেতু একটি পুষ্টিকর খাবার এবং বাজারে সারা বছরই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তাই সেদ্ধ ডিমের ব্যবসায় মাত্র কয়েক ঘন্টা বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। এটি একটি ছোট ধরনের ব্যবসা এর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা লাগেনা মাত্র কয়েক হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসা করা সম্ভব। যেহেতু সেদ্ধ ডিম বিক্রির জন্য ডিম কেনা থেকে শুরু করে ডিম সেদ্ধ করা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের
আসবাবপত্র প্রয়োজন পড়ে তাই এগুলো কেনার জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন তবে তা অল্প টাকাতেই সম্ভব। এই স্বল্প পুঁজির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আপনি একটা হিউজ পরিমান টাকা রোজগার করতে পারেন। বাজারে একটি দেশি মুরগি সেদ্ধ ডিমের দাম ২৫ টাকা তাহলে প্রতিদিন আপনি যদি ১০০ টি ডিম বিক্রি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে বিক্রি মূল্য দাঁড়াবে ২৫০০ টাকা এবং মাসিক ইনকাম দাঁড়াবে ৭৫
হাজার টাকা। আর প্রতি মাসে আপনার লাভ থাকবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এটি মাত্র একটি উদাহরণ স্বরূপ। শুধু দেশি মুরগির ডিম নয় হাঁস বয়লার কোয়েল পাখি ও অন্যান্য সেদ্ধ ডিম বাজারে বিক্রি করা যায় এবং তা ব্যাপক পরিমাণে করা যায়।
মুদিখানার দোকান দিয়ে ব্যবসা
আপনি চাইলে এর পাশাপাশি মুদিখানার দোকান দিয়েও ইনকাম করতে পারেন। অল্প পুঁজিতে ছোট একটি মুদিখানার দোকান দিয়ে দিনে চাকরি আর রাতে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। তবে যখন আপনার ক্যাশ বাড়বে তখন ব্যবসাটি বড় করে নিতে পারেন। আর চাকরির পাশাপাশি এই ব্যবসাটি আপনার জন্য অনেক ভালো ও লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে। তবে আপনি যেই ব্যবসা করেন না কেন
ব্যবসা করার সময় লক্ষ্য রাখবেন সব সময় অল্প পুজি দিয়ে ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার। কারণ অনেকেই মনে করেন ব্যবসায় বেশি টাকা বিনিয়োগের ফলে বেশি বেশি লাভ করা যায়। হ্যাঁ, বেশি লাভ করা যায় ঠিক আছে কিন্তু যদি কোন কারণবশত আপনি ব্যবসায় লস খেয়ে যান তাহলে আপনার লাভ তো দূরের কথা আপনার ব্যবসায় ক্যাশের টাকায় কমে যাবে ফলে আপনি বিভিন্ন দিক দিয়ে বিপদগ্রস্ত
হতে পারেন। তাই ছোটখাটো ও মধ্যধরনের ব্যবসায় অল্প পুঁজিই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে যখন আপনার ব্যবসাটি চালু হয়ে যাবে আপনি যখন সকলের কাছে পরিচিত হয়ে যাবেন এবং আপনার দোকানে বেচাকেনা বেশি হতে থাকবে তখন আপনি সেখানে আরো কিছু টাকা দিয়ে আপনার ব্যবসার বড় করে নিতে পারেন।
এছাড়াও আমি আপনার মাঝে একটি টিপস শেয়ার করি যে টিপসগুলো সচারচর মানুষ বলেন না, এবং অনেকেই জানেন না। আপনি এমন ব্যবসা করার চেষ্টা করবেন যে জিনিসগুলো কিনে মানুষের দ্রুত শেষ হয়ে যায় যেমন বিভিন্ন খাবার বিভিন্ন ব্যবহৃত আসবাবপত্র সেই জিনিসের ব্যবসা গুলো করার। যদি একটি জিনিস কিনে মানুষের কয়েক মাস চলে যায় তাহলে তো সেই জিনিস শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে আর কিনবেন অতএব এই ধরনের ব্যবস্থা না করা। ব্যবসায় যত বেশি বিক্রি হবে তত বেশি লাভ হবে এটাইতো স্বাভাবিক।
চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে আয় করা
চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে আয় করা সম্ভব এবং তা অধিক পরিমাণে সম্ভব। আজকাল বহু লোক চাকরি করে অথবা চাকরি না করেও উদ্যোক্তা হয়ে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করছেন যা চাকরি করে যে টাকা পাওয়া যায় তার চাইতেও বেশি। এখন প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে উদ্যোক্তা মানে কি? উদ্যোক্তা মানে হল যিনি নতুন কোন কিছু যেমন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা
বিভিন্ন সংস্থা গড়ে তোলার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবায়ন করে নিজেই তা পরিচালনা করেন তাকেই উদ্যোক্তা বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি ফুল ফ্রিল্যান্সার এবং তিনি একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তার এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাকেই উদ্যোক্তা বলা হয়। কারণ তিনি নিজেই তার মালিক। আবার আপনি কোন কিছু গড়ে তোলার বা তৈরি করা যে ইচ্ছা পোষণ করেছেন সেটি হল
উদ্যোগ আর তা বাস্তবায়ন করাকে বলা হয় উদ্যোক্তা। এখন আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হতে পারেন যেমন মনে করুন আপনার একটি বড় ধরনের ব্যবসা রয়েছে এবং সেই ব্যবসার মালিক একমাত্র আপনি সেখান থেকে কোন কিছুর ভাগ অন্যকে দেওয়া হয় না। তাহলে সেই ব্যবসার পুরো লাভটাই আপনারই থাকছে। এভাবে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্যোক্তা হয়ে অনেক টাকা আয় করা যায়
ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা কোনগুলো জেনে নিন
এতক্ষণ আমরা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে চাকরির পাশাপাশি টাকা ইনকামের সহজ আইডিয়াগুলো সম্পর্কে জেনেছি এবং চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে আয় করা যায় কিনা সে সম্পর্কে জেনেছি। তবে এখন আমরা জানবো ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা কাকে বলে এবং কোন ধরনের ব্যবসায় কোন ঝুঁকি নেই। উপরিউক্ত আলোচনায় আমি যে ব্যবসা আইডিয়া গুলো দিয়েছি মূলত সেই সকল
ব্যবসা এবং সে ধরনের আরো যে ব্যবসাগুলো রয়েছে যেমন- ফলমুলের ব্যবসা, স্টেশনারী ব্যবসা, বেকারী ব্যবসা ইত্যাদি এই ব্যবসাগুলোতে কোন ঝুঁকি নেই। আর ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা মানে হলো যে ব্যবসায় লস হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকেনা, যে ব্যবসা করলে ঋণগ্রস্থ ও বিপদের সম্মুখীন হতে হয় না এবং যে ব্যবসায় অল্প পুজিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়
সেই ধরনের ব্যবসাকে ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা বলে। তবে আপনার উদ্দেশ্যে একটি কথা বলে রাখি যখন আপনি ব্যবসার শুরুতেই অনেক বড় করে ব্যবসা এবং তাতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করবেন তখন সেই ব্যবসায় ঝুঁকি থাকবেই তা যেকোন ব্যবসাই হোক না কেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আপনাকে চাকরির পাশাপাশি টাকা ইনকামের আইডিয়াগুলো সম্পর্কে একটি ধারনা দিয়েছি সেই আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে এই আইডিয়াগুলোর মধ্যে এবং পুরো আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ধরনের ভূল ভ্রান্তি কিংবা কোন তথ্য মিসটেক হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
এবং আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে সুন্দর একটি কমেন্ট করার মাধ্যমে আমাদেরকে উৎসাহিত করে এই ওয়েবসােইটের ফলো বাটনে ফলো দিয়ে আমাদের পাশে থাকতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url