ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর সহজ উপায় জেনে নিন
ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে অনেকেই ভালো করে জানেন না। তবে আপনি যদি এই বিষয়ে কিছুই জেনে না থাকেন তাহলে পড়ে নিন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি এবং জেনে নিন ওজন কমানোর কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে।
অনেকের ওজন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে এবং কিভাবে ওজন কমানো যায় তা নিয়ে খুব চিন্তায় থাকেন। তবে আপনার যদি এরূপ সমস্যা হয়ে থাকে এবং দ্রুত ওজন ওজন কমানোর সহজ উপায় গুলো জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।
পেজ সূচিপত্র : ঘরে বসে ওজন কমানোর সহজ উপায়
- ঘরে বসে ওজন কমানোর সহজ উপায়
- ওজন কমানোর জন্যে কোন খাবার খাওয়া উচিত
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
- ওজন কমাতে যা খাওয়া যাবে না
- ওজন কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানুন
- মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
- ওজন কমানোর দোয়া
- ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক ঔষধ
- মেদ কমানোর উপায়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ঘরে বসে ওজন কমানোর সহজ উপায়
নিজে কে সুদর্শন করতে অনেকেই নিজের ওজন কমিয়ে থাকেন। ওজন কমানোর জন্যে ব্যবহার করে থাকেন অনেক কিছু। যাদের বেশী ওজন হয়ে থাকে তারা তাদের এই সমস্যা নিয়ে অনেক অস্বস্তিতে থাকেন। তাই ওজন কমানোর জন্যে নানা কিছু করে থাকে সে। বি এম আই মান যদি ২৪.৯ এর উপরে চলে যায় তাহলে ওজন কমানোর প্রয়োজন পড়ে।
আদর্শ বি এম আই মান হলো ১৮.৯ থেকে শুরু করে ২৪.৯ পর্যন্ত। অতএব আপনার যদি বি এম আই এর মান অতিরিক্ত হয়ে যায় এবং ওজন বাড়তে থাকে তাহলে কিভাবে খুব সহজে ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমাবেন তার কিছু টিপস জেনে নিন নিচের অংশ থেকে।
লেবু ও মধুরঃ লেবু ও মধুর আপনার ওজন কমাতে বেশ কাজে আসবে। তাই এক গ্লাস গরম পানি, এক চতুর্থাংশ লেবুর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে তা প্রতিদিন পান করতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন এটি যেন খালি পেটে পান না করা হয়। এর ফলে আপনার অবনতি হতে পারে। প্রতিদিন সকালে নাস্তা করার পর এটি পান করতে পারেন। এর ফলে আপনার ওজন কমতে থাকবে।
জিরাঃ জিরাও আপনার ওজন কমাতে ভুমিকা রেখে থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্যে নিজের খাদ্য তালিকায় এটিকেও রাখতে পারেন । এর জন্যে সারা রাত পানিতে জিরা ভিজিয়ে রাখুন এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তা পান করুন। এই জিরার পানি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যে যেমন ভালো ও ওজন কমাতেও অনেক সাহায্য করবে।
জোয়ানঃ প্রতিদিন সকালে যদি জোয়ান চিবিয়ে খান তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্য কম করতে সাহায্য করে থাকে। এটি শরীরে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণ চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই নিজে কে ফিটনেস রাখার জন্যে নিজের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন জোয়ান।
টক দইঃ টক দই যদি দুপুরের খাবারের সাথে খান তাহলে তাও আপনার বেশ উপকারে আসতে পারে। টক দইয়ে অনেক গুলো ব্যাকটেরিয়া থাকায় এটি বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে। যার ফলে বেশী পরিমাণে পুষ্টি শোষণ ঘটে ও হজম অনেক দ্রুত হয়ে থাকে। আর হজম প্রক্রিয়া যদি দ্রুত সংঘটিত হয়ে থাকে তাহলে মেদ কমে ও ওজন হ্রাস পায়।
ডাল গুঁড়াঃ ডাল গুঁড়া করে তৈরি করা হয়ে থাকে ছাতু। এই ছাতুতে রয়েছে বেশ উপকারিতা। এর মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকার কারণে সহজেই ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে এটি। তাই ডায়েটের জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে এই ডালের ছাতু কে। যে কোনো খাবার গ্রহণের সময় তা ভালো করে চিবিয়ে খান। ফলে এই গুলো সহজেই হজম হবে
এবং মোটা হবেন না। খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবার খান যা আপনার শরীরের জন্যে প্রয়োজন। কিছু কিছু সময় পেটকে খালি রাখবেন। পেট খালি রাখার ফলে যদি হঠাৎ করে বেশী পরিমাণে খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে ওজন কমে যেতে পারে। খাওয়ার ১৫ মিনিট আগেই পানি পান করে নিবেন।
বসে বসে ভাজা খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ওজন কমানোর জন্যে আপনার খাদ্যভাস পরিবর্তন করে ফেলুন। এটি আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ওজন কমানোর জন্যে কোন খাবার খাওয়া উচিত
ওজন কমিয়ে যদি নিজে কে স্লিম করতে চান তাহলে আপনাকে খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। তাই আপনি যদি সঠিক ভাবে খাবার নির্বাচন করতে পারেন তাহলে নিজেকে খুব অল্প দিনেই হালকা করে ফেলতে পারবেন। তাই বাড়িতে মোটা চাল, লাল চাল বা লাল আটার তৈরি করা খাবার গুলো খেতে পারেন। কারণ এই খাবার হজম হতে
বেশী সময় নেওয়ার কারণে আপনার ক্ষুধা লাগে না। শাকপাতা ও সবজি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আর তাই প্রতিদিন শাক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ভালো। তাই খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন শাকসবজিকে। ওজন কমাতে শাকসবজির ঝুড়ি নেই। মাটির উপর জন্মানো শাকসবজি গুলো আপনার ওজন কমাতে জাদুকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।
আলু, গাজর ও মুলা এই গুলো মাটির নিচে জন্মায়, এই গুলো খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে থাকে। তাই এই সকল কিছু বাদ দিয়ে খেতে পারেন অন্য সবজিগুলো। আবার মিষ্টি জাতীয় ফল এড়িয়ে চলার মাধ্যমে খেতে পারেন অন্য সকল ফল গুলো। টক ও পানসে ফল খাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার ওজন ।
আর বরই, আমড়া, বাঙ্গি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। অনেকেই ভেবে থাকেন মাংস খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু ওজন বাড়ার প্রকৃত কারণ হলো চর্বি খাওয়া। তাই আপনি চর্বি ছাড়া মাংস খেতে পারেন। শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণ করে নিতে পারেন একটি ডিম, এক পোয়া দুধ, একটু মাছ বা মাংসের মাধ্যমে। আমিষ আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে না বরং
এটি ক্ষুধা হ্রাা করবে। যার ফলে আপনার ওজন কমাতে তা সহায়ক হবে। আবার এক কাপ মাঝারি আকারের ডাল খাওয়ার মাধ্যমে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোক তার আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন চর্বির বিষয়টি। যেন খাবারে এটা না থাকে। আপনার ওজন কমানোর জন্যে খেতে পারেন চিনা বাদাম, টক দই ইত্যাদি।
৮০ থেকে ১০০ গ্রামের বেশী চিনা বাদাম খাওয়া উচিত নয়। খোসার ভিতরে যে লাল আবরণ থাকে তা আপনার জন্যে উপকারী। একই ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে টক দই। চাল, আলু বা গম থেকে আমাদের দেহ প্রচুর শর্করা পেয়ে থাকে। যার কারণে এইগুলোকে আমাদের ওজন বৃদ্ধির জন্যে দায়ী করা যেতে পারে। আর তাই এই সব খাবারের পরিবর্তে ওজন কমানোর জন্যে খেতে পারেন যব, ছাতু ও ওটস ইত্যাদি।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
এতক্ষণ আমরা ওজন কমানোর কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে জানলাম এবার আমরা জানবো লেবু দিয়ে কিভাবে ওজন কমানো যায়। ওজন কমাত আপনার কাজে আসবে লেবু। এটি বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি সকালে খালি পেটে ওজন কমানোর উদ্দেশ্য লেবুর পানি খাওয়া। তবে লেবু ও পানি দুটিই আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারী কেননা
লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। যদি লেবুর রস ও পানি দিয়ে শরবত বানান তাহলে তা খেতে অনেক ভালো লাগে। এই শরবত খাওয়ার ফলে এটি পাকরস তৈরিতে তুরান্বিত ভুমিকা পালন করে থাকে। পেঁট পরিষ্কার রাখে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমিয়ে থাকে। আর তাই ভারী খাবার গুলো খাওয়ার পরে কোনো কোমল পানীয় খাওয়ার বদলে খেতে পারেন লেবুর পানি।
নিজের ওজন যদি কমাতে চান তাহলে সকালে খারি পেটে লেবু পানি খান। আর তাই ৪০০ মিলিলিটার কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস ও একটু মধু দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন এই লেবুর পানি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করার ফলে এটি আপনার ক্ষুধার পরিমাণ হ্রাস করে। যার ফলে শরীর কম পরিমাণে
ক্যালরি পেয়ে থাকে এবং ওজন হ্রাস পায়। শুধু ওজন কমাতেই নয় বরং এর অবদান রয়েছে ত্বকের বলি রেখা কমাতে ও ত্বক কে সুরক্ষা দান করতে।
ওজন কমাতে যা খাওয়া যাবে না
আপনি যদি নিজের ওজন বাড়াতে চান তাহলে প্রথমেই খাদ্য তালিকা থেকে উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভাজা পোড়া, কেক পেস্ট্রি, চকলেট আইসক্রিম, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি খাবার গুলো খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। নিজের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কিছু পুষ্টিকর খাবার যেমন শাক সবজি, তাজা ফলমূল ও
ভালো মানের প্রোটিন ইত্যাদি। তাছাড়া রাখতে পারেন ডিম, দুধ ও মাংস কে। প্রচুর শাক সবজি খেলে এই গুলো আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। প্রচুর ফলমূল খাবেন তবে ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টিজাতীয় ফল হিসাব করে খাবেন। আবার কোমল পানীয়, আইসক্রিম ও চকলেট ইত্যাদি খাবার গুলো কে বর্জন করুন। চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে অবশ্যই।
চিপস ও চিনি ইত্যাদি প্রক্রিয়া জাত খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শর্করা জাতীয় খাবার গুলোর পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসুন। সাদা ভাত, পরোটা ও পাউরুটির পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন লাল চাল, লাল আটা ও ওটস ইত্যাদি।
ওজন কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানুন
এতক্ষণে আপনি নিশ্চয় জেনে গিয়েছেন ওজন কমানোর বিভিন্ন খাবারগুলো সম্পর্কে তবে এখন আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। নিয়মিত শরীর চর্চা করার ফলে আপনার ওজন কমতে পারে। আর সঠিক ভাবে ডায়েট করা ও শরীর চর্চা করার ফলে আপনার ওজন অতি তাড়াতাড়ি কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
তাই ওজন কমানোর জন্যে হাঁটার অভ্যাস করুন। হাঁটলে শরীর নানা ভাবে উপকৃত হয়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। সকাল বিকাল যদি নিয়ম মেনে হাঁটতে থাকেন তাহলে আপনার ওজন কমবে। দড়ি লাফ একটি ভালো শরীর চর্চা। গবেষণা দেখা গিয়েছে, ১০ মিনিট হাঁটার থেকে ১০ দড়ি লাফ দিলে বেশী পরিমাণে ক্যালরি বার্ন হয়।
একই সাথে পেশীও অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে।আবার নিতে পারেন শক্তি প্রশিক্ষণ। ওয়েট ট্রেনিং এর মাধ্যামে অতিরিক্ত শক্তি কমানো সম্ভব হয়ে থাকে। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তাই ২ দিন অন্তর অন্তর এই কাজ করতে পারেন। হিট বা হাই ইনটেনসিভ ইন্টারভাল ট্রেইনিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। ওজন কমানোর বেশ ভালো একটি উপায় হলো এটি।
মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
ওজন কমাতে ডায়েট চার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। আপনিও যদি আপনার ওজন কমাতে চান তবে প্রয়োজন হবে ডায়েট চার্টের। এটি দেখে আপনি আপনার খাবার গুলো নির্ধারণ করতে পারবেন। আপনি যদি চান ১০ থেকে ২০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে তাহলে নিম্নোক্ত ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুন।
সকালে নাস্তা করুন ৭ টায়।
এই সময়ে যা খাবেন।
- ১ কাপ ওটমিল।
- ১/২ কাপ যে কোনো ধরণের ফল।
- ৫/১০ টি বাদাম।
- চিনি ছাড়া ১ কাপ চা।
১০ টার দিকে মধ্যবর্তী একটা নাস্তা করতে পারেন।
- ১ কাপ দই।
- ১/২ কাপ ফল।
দুপুরে ১ টার সময় খাবার তালিকা :
- ১ কাপ লাল/ বাদামী ভাত।
- ১৫০ গ্রাম মাছ বা মাংস।
- ১ কাপ সবজি।
- ১ কাপ ডাল।
- ১ প্লেট সবজি।
৪ টার সময় বিকালের নাস্তায় যা রাখবেন:
- ১ মুঠো মুড়ি।
- ৫০ গ্রাম চানা
- ১/২ কাপ ফল।
৮ টার সময় রাতের খাবারের তালিকা :
- ২টি আটার রুটি।
- ১ প্লেট সবজি।
- ১ কাপ ডাল।
- ১৫০ গ্রাম মাছ না মাংস
- ১ কাপ সালাদ
রাতে ঘুমের আগে ১০ টায় খাবার তালিকা:
- ১ গ্লাস গরম দুধ।
- ২ থেকে ৩ লিটার পানি।
ওজন কমানোর দোয়া
মুফতী হাফিজুর রহমানের মতে দুটি দোয়া তুলে ধরা হলো। প্রথমটি আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকে তাহলে " ইয়া মুকছিতু ইয়া ক্বায়্যু " দোয়াটি পড়তে পারেন। এই আমল যারা বিবাহিত রয়েছেন তারা দৈনিক ৩০ মিনিট করে আমল করবেন ফলে আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন সেম হয়ে যাবে। আর যারা অবিবাহিত রয়েছেন তারা চাইলে " ইয়া মুকসিতু ইয়া বাসিতু" এই দুটি গুণবাচক নাম পড়বেন। এই আমলটি ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন।
ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক ঔষধ
ওজন কমাতে অনেকেই বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকেন। আপনার ওজন কমাতে ভুমিকা রাখে আয়ুর্বেদিক ঔষধ। ত্রিফলা আপনার ওজন কমাতে ভুমিকা রাখবে। তুলসি ও হলুদ ও ওজন কমাতে ভুমিকা পালন করে থাকে। মেথী আয়ুর্বেদিক ঔষধে হজম সমস্যায় ব্যবহার করা হলেও এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। ওজন কমাতে ভুৃমিকা রাখে দারুচিনিও।
মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানুন
অনেকেই মেদের সমস্যায় ভূগে থাকেন। এটি একটি বাড়তি সমস্যা ও বিরক্তিকর বিষয়। তাই এই ঝামেলা থেকে বাঁচতে অনেকেই অনেক উপায় অবলম্বন করে থাকেন। তবে পেটের মেদ কমানোর জন্যে খেতে পারেন প্রচুর পানি।
গ্রীন টি অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটিও খেতে পারেন। কাঁচা মরিচে থাকে ক্যাসেইনিন নামক এক ধরণের উপাদান। আদা চা হজমে সাহায্য করে থাকে। এটি দুশ্চিন্তা জনিত ওজন কমিয়ে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনি সকল কিছু ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবে এই বিষয়ে আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে বা কোনো মন্তব্য থাকলে তা রাখতে পারেন। আর অতিরিক্ত ওজন বা
মেদের সমস্যায় ভূগে থাকলে এবং এই ডায়েটগুলো মানার পরেও যদি আপনার কোনোভাবেই ওজন কমে না আসে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। ধন্যবাদ।
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url