ঘরে বসে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান এবং জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, কত টাকা জমা দিতে হয়, পেতে কতদিন সময় লাগে আপনি কি তা জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোষ্টি আপনার জন্য।
আজকের আর্টিকেলের আমরা আলোচনা করব ঘরে বসেই অনলাইনে কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হয়। তাই আপনি যদি জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম জেনে নিন
- জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র লাগে
- অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে কত টাকা লাগে জেনে নিন
- জন্ম নিবন্ধন করতে কতদিন সময় লাগে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
- সচারচার কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম জেনে নিন
জন্ম নিবন্ধন ছোট থেকে বড় পর্যন্ত দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক এবং এটি এমন একটি ব্যক্তিগত তথ্যকে বহন করে যা আপনার পরিচয়কে সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখে। যাদের জন্ম নিবন্ধনের পরে এন আই ডি অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড হয়ে গিয়েছে তাদের হয়তোবা কোন কাজ করতে গেলে জন্ম সনদের প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রয়েছে যেই কাজগুলো করতে গেলে জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম সনদ দুটোই প্রয়োজন পড়ে। আবার আমাদের দেশে অনেক নাগরিক রয়েছে যাদের এখনো জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড ও জন্ম সনদ দুটিই নেই। তাই যাদের এন আই ডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধন পত্র নেই তাদের অতি দ্রুত এনআইডি কার্ড ও
জন্ম নিবন্ধন পত্র তৈরী করে নিতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে তারা বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। আর শিশুদের ক্ষেত্রে বলি দেশের বিধান অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সের আগে যেহেতু এনআইডি কার্ড পাওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে তাদের জন্ম নিবন্ধন করা অতীব জরুরী। কারণ এই সময়ে জন্ম নিবন্ধন পত্র দিয়েই সবকিছু করতে হয়। আর একজন শিশুর জন্য
আরো পড়ুনঃঅনলাইন জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন যেভাবে
জন্ম নিবন্ধন যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা একমাত্র বোঝা যায় যখন শিশুকে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে যাবেন অথবা জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ে এমন কোন কাজ করতে যাবেন। আজকাল দেশের বহু মানুষ যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই অথবা যারা তাদের শিশুর জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে চান কিন্তু কোথায় গিয়ে করাবেন কিভাবে করাবেন এবং
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে কত টাকা খরচ হয় এসব বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকেন। তবে আপনিও যদি তাদের মত এসব বিষয় নিয়ে চিন্তায় থাকেন এবং জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার আর কোন চিন্তা নেই। এখন থেকে আপনি কোন অনলাইন কম্পিউটারের দোকান, ইউনিয়ন পরিষদ বা
পৌরসভায় অথবা কার্যালয়ে না গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজেই নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন তার কিছু নিয়ম নির্দেশনা আমি নিচে দিয়ে দিলাম সে অনুযায়ী কাজ করলে আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তৈরীর অফিসার যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখানে প্রবেশ করলে সরাসরি নিচের প্রথম ফর্মে নিয়ে চলে আসবে
স্টেপ ১ঃ
স্টেপ ২ঃ
স্টেপ ৩ঃ
স্টেপ ৪ঃ
স্টেপ ৫ঃ
স্টেপ ৬ঃ
স্টেপ ৭ঃ
এখানে ছবিতে যে ফর্মগুলো দেয়া হয়েছে প্রত্যেকটি ফর্মে যে সকল তথ্যগুলো যেভাবে চেয়েছে ঠিক সেই ভাবে পূরণ করতে হবে। পূরণ করার পর সাবমিট করে দিলে আবেদনটির শেষ ফর্মে আবেদন সাকসেসফুল দেখাবে। এরপর আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র লাগে
এই আর্টিকেলে এতক্ষণ আমরা জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। তবে এখন আমরা জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে জানব। পূর্বের যে সকল জন্ম নিবন্ধনগুলো রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র হাতের লেখা নিবন্ধন পত্র যা অনলাইন নয় এবং অনলাইনে সার্চ করলে এই নিবন্ধন গুলো পাওয়া যায়না।
তাই আপনার নিবন্ধনটি যেন অনলাইনে সার্চ করলে দ্রুত পাওয়া যায় সেজন্য অনলাইন ভিত্তিক নিবন্ধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পুরাতন নিবন্ধন গুলোকেও অনলাইন করতে বলা হয়েছে। তবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে এবং কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
শিশুর বয়স ০ (শূন্য) থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত হলে যে সকল কাগজপত্র লাগবেঃ
- স্বাস্থ্যকর্মী কর্তৃক শিশুর টিকা দানের কার্ড
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (আবেদনকারী)
- পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন পত্র (অনলাইন হতে হবে)
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
- বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ
- পিতা-মাতা ব্যবহার করেন এমন সচল মোবাইল নাম্বার
শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হলে যেসব কাগজপত্র লাগবেঃ
- নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মী কর্তৃক শিশুর টিকা দানের কার্ড
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (আবেদনকারী)
- অথবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক একটি প্রত্যয়ন পত্র
- পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন পত্র (অবশ্যই অনলাইন হতে হবে)
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
- বাড়ীর ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ অথবা বিদ্যুৎ দিলে যে কোন একটি ফটোকপি এক্ষেত্রে নতুন বিলের কাগজ হলে ভালো হয়।
- পিতা-মাতার ব্যবহারযোগ্য একটি সচল মোবাইল নাম্বার
শিশুর বয়স ৫ বছরের অধিক হলে যেসব কাগজপত্র লাগবেঃ
- শিশুর বয়স প্রমাণের জন্য নিকটস্থ একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যান পত্র
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (আবেদনকারী)
- প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার অথবা জুনিয়ার সার্টিফিকেট অথবা মাধ্যমিক সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র (অনলাইন হতে হবে)
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার
- বাড়ির ট্যাক্স পরিষদের রশিদ
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে কত টাকা লাগে জেনে নিন
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার পূর্বে আমরা একটি বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি এবং মনে করি যে নিবন্ধন করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে। আসলেই তা নয়। নিবন্ধন করতে খুব বেশি টাকা খরচ হয় না। আপনি জন্ম নিবন্ধন করুন অথবা মৃত্যুর নিবন্ধন করুন না কেন দুটির ক্ষেত্রে একই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি নিজের দেশ থেকে নিবন্ধন করতে চান
আরো পড়ুনঃরাজশাহী থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকেট ২০২৫
সেক্ষেত্রে অল্প টাকাতেই হয়ে যাবে আর যদি দেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশ থেকে নিবন্ধন করতে চান তাহলে এর জন্য আপনাকে একটু বেশি টাকা খরচ করতে হবে। মূলত শিশুর বয়স ভেদে জন্ম নিবন্ধন ফি বেশি নেওয়া হয়। তবে শিশুর বয়স শূন্য থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে গেলে সে ক্ষেত্রে বিনা ফি অর্থাৎ ফ্রিতে নিবন্ধন করতে পারবেন।
আর আবেদনের ক্ষেত্রে বলি আপনি যদি নিজে নিজেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আবেদন ফ্রি লাগবে না শুধু সরকারিভাবে নিবন্ধনটি তৈরি করতে যত টাকা খরচ হবে শুধু তত টাকায় জমা দিতে হবে। আর যদি নিবন্ধন এর আবেদন কোন কম্পিউটারের দোকানে সিটি কর্পোরেশনে ইউনিয়ন পরিষদে বা পৌরসভায় অথবা
কার্যালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে যান সে ক্ষেত্রে আবেদন এবং নিবন্ধন তৈরি ফি দুটিই পে করা লাগবে। তাহলে চলুন এবার দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক নিবন্ধন তৈরি ফি দেশ থেকে এবং বিদেশ থেকে কত টাকা জমা দিতে হয়। এক্ষেত্রে নিবন্ধন তৈরি ফি নিচে টেবিল আকারে তুলে ধরা হলো আপনি এক নজরে দেখে নিন
বয়স | দেশে | বিদেশে |
---|---|---|
শিশুর বয়স যদি (০) শূণ্য থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হয় দতাহলে নিবন্ধনের আবেদন করতে কোন টাকা লাগবেনা ফ্রিতে করা যাবে | ------- | ------- |
শিশুর বয়স যদি ৪৬ দিন থেকে ৫ বছরের মধ্যে হয় | ২৫ টাকা | ১ ডলার |
শিশুর বয়স যদি পাঁচ বছরের উর্ধ্বে হয় | ৫০ টাকা | ১ ডলার |
জন্ম নিবন্ধন করতে কত দিন সময় লাগে
আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার পর আবেদনটি যখন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি করে নিতে হবে। এবং সেই প্রিন্ট কপিটিসহ উপরে উল্লেখিত নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত যেসব কাগজপত্রের কথা বলা হয়েছে সেই সকল তথ্যাবলী এবং নির্ধারিত ফি সংশ্লিষ্ট আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে কার্যালয়ে অথবা পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে অথবা
সিটি কর্পোরেশনে অর্থাৎ আপনি যদি পৌরসভায় বসবাস করেন তাহলে পৌরসভায় গিয়ে আর যদি সিটি কর্পোরেশন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের বসবাস করেন তাহলে সেখানে গিয়ে কিংবা সরাসরি কার্যালয় গিয়ে জমা দিতে হবে অন্যথায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা না দিলে আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে। আর জমা দেওয়ার সময় সকল তথ্যবলি
সাবমিট করে নিবন্ধন তৈরির দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্তৃক কপিগুলো রেখে একটা গ্রাহক কপি দেওয়া হবে। নিবন্ধন আবেদনের সকল তথ্যগুলো সাবমিট হয়ে গেলে ৭ থেকে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যেই নিবন্ধনপত্র অনলাইনে চলে আসে কার্যালয়ে নিবন্ধন তৈরির ক্ষেত্রে যদি না কোন সমস্যা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্র বিশেষে সমস্যার কারণে
আরো পড়ুনঃঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনটিকেট কাটার নিয়ম সময়সূচী ও ভাড়া ২০২৫
অনেক সময় এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এরপর গ্রাহক কপিতে নিবন্ধনের একটি নাম্বার দেওয়া থাকবে সেই নাম্বারটি দিয়ে আপনার আবেদনটি কি অবস্থায় আছে তা চেক করতে পারবেন এবং এখান থেকে নকল কপি তুলে প্রয়োজননীয় কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ
জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে শেষ কথায় বলতে চায়, জন্ম নিবন্ধন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রয়োজন। এনআইডি কার্ড দিয়ে সকল কাজ করা গেলেও অনেক সময় কিছু কিছু কাজে জন্ম নিবন্ধন পত্রের প্রয়োজন হয় তাছাড়া এটি দেশের একজন নাগরিক হওয়ার প্রথম পরিচয় বহন করে।
সেজন্য জন্ম নিবন্ধন পত্র করা খুবই জরুরী। আর যাদের এখনো জন্ম নিবন্ধন হয়নি তাদের উচিত হবে দ্রুত নিবন্ধন তৈরি করে নেওয়া অন্যথায় ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য অনলাইনে আবেদনকরার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর্টিকেলটি আপনি ভালোভাবে পড়ে এবং বুঝে
আবেদন করার নিয়ম গুলি জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করলে আবেদনও করতে পারবেন। আশা করি আপনি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন। ধরনের আরো অনেক জ্ঞানমূলক ও তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে একান্ত 💓💓ধন্যবাদ💓💓।
সচারচার কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম কি?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ করার পর সেখানে যে তথ্যগুলো চাইবে প্রয়োজন সেই তথ্যগুলো পূরণ করলে জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে একটি আবেদন তৈরি হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কত টাকা লাগে 2025?
উত্তরঃ আপনি যদি নিজ দেশ থেকে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে অল্প টাকা লাগবে। আর যদি দেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশ থেকে করতে চান তাহলে এর জন্য একটু বেশি টাকা খরচ হবে। শিশুর বয়স যদি ০ শূন্য থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে থাকবে তখন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে কোন টাকা লাগবে না
অর্থাৎ ফ্রিতে আবেদন করতে পারবেন। আর ৪৬ থেকে ৫ বছরের মধ্যে হলে দেশে ২৫ টাকা এবং বিদেশে ১ ডলার। শিশুর বয়স ৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে দেশে ৫০ টাকা এবং বিদেশ থেকে হলে এক ডলার হারে পে করতে হবে।
প্রশ্নঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মী কর্তৃক শিশুর টিকাদানের কার্ড, বাবা মায়ের অনলাইন জন্ম সনদপত্র, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র, বাড়ির খাজনা খারিজের অথবা পরিশোধের রশিদ অথবা বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি, এবং একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url