জান্নাতি ২০ জন সাহাবীর নাম - সবচেয়ে শ্রেষ্ট সাহাবীদের নামের তালিকা

জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম। আপনি কি পৃথিবীতেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ২০ জন সাহাবীর নাম এবং শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন এবং আজকের আর্টিকেলটি একমাত্র আপনার জন্য।

জান্নাতি-২০-সাহাবীর-নাম

পৃথিবীতে অনেক সাহাবায়েকেরামগণ ছিলেন তবে তাদের মধ্যে যারা পৃথিবীতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন সে সকল জান্নাতী সাহাবীদের নামগুলো গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে নামগুলো জেনে নিতে পারবেন।

পোষ্ট সুচিপত্রঃজান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম - শ্রেষ্ট সাহাবীদের নামের তালিকা

জান্নাতি ২০ জন সাহাবীর নাম

আলোচনা শুরুর আগে আপনার উদ্দেশ্যে আমি একটি বিষয় বলে রাখি আপনি যদি ২০ জন জান্নাতি সাহাবীর নাম এবং শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম জানতে চান তবে এই আর্টিকেলটি খুব গুরুত্বের সহিত পড়বেন তাহলে সকল সাহাবীদের নাম এবং সাহাবীদের ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন যে বিষয়গুলো আপনার জানা নাও থাকতে পারে।

জান্নাতি সাহাবীদের নাম জানার আগে প্রথমে যে বিষয়টি জানা প্রয়োজন তা হল, আসলে সাহাবী কারা.আর কাদেরকে সাহাবী বলা হয়। সাহাবী একটি আরবী শব্দ এর আভিধানিক অর্থ হল নবীর  সঙ্গী, সাথী বা সহচর, সাহচার্য ইত্যাদি। এবং পারিভাষিক অর্থে সাহাবী বলতে বোঝায় রাসুলে কারীম (সঃ) এর জীবদ্দশাই অর্থাৎ রাসুল (সঃ) জীবিত কালীন সময়ে

যে সকল ব্যক্তিবর্গরা রাসূল (সঃ) কে স্বচক্ষে দেখেছেন, তাকে বিশ্বাস করেছেন, তার প্রতি ঈমান এনেছেন, এবং তার দেখানো পথকেই সঠিক পথ বলে মান্য করেছেন একমাত্র তাদেরকেই সাহাবী বলা হয়। সাহাবীদের মর্যাদা হিসেবে তাদের স্তরভেদ থাকতে পারে কিন্তু এযুগের মানুষজন সে যত বড় জ্ঞানীগুণী হোক না কেন কখনোই কেউ একজন সাধারণ

আরও পড়ুনঃস দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম - অর্থসহ ৩৩০+ সকল নাম

সাহাবীরও মর্যাদা লাভ করতে পারবে না আর এই ব্যাপারে কুরআন ও সুন্নাহ একমত। তাদের কিছু মহৎ গুণের কারণে তাদেরকে খয়রুল করুন ও খাইরুল উম্মাতিন এ মর্যাদার অধিকারী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের কে গালি দেওয়া এবং হেয় প্রতিপন্ন করার সমালোচনা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন,

তোমরা সাহাবীদেরকে কখনো সমালোচনার লক্ষ্যে পৌঁছে দিওনা কেননা তাদেরকে যারা ভালবাসেন তারা আমার মহব্বতের খাতিরেই ভালোবাসেন। আর তাদেরকে যারা হিংসা করেন তারা আমার প্রতিহিংসার কারণে তাদের প্রতি হিংসা করেন অতএব তোমরা কখনো সাহাবীদেরকে হেয় প্রতিপন্ন বা হিংসার চোখে দেখো না। উপরিউক্ত 

আরও পড়ুনঃমুসলিম ছেলেদের আধুনিক ও ইসলামিক নাম অর্থসহ ২০২৪

আলোচনা পড়ার পরে এতক্ষণ আপনি নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন যে আসলেই সাহাবী কারা। তাহলে চলুন এখন আমরা জান্নাতি ২০ জন সাহাবীর নাম কি তা জেনে নিই

সাহাবীদের সংখ্যা সাহাবীদের নাম
হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত ওমর রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত উসমান গণি রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত তালহা ইবন উবাইদুল্লাহ রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত সা’দ ইবন আবী ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
হযরত সাঈদ ইবন যায়িদ রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১০ হযরত আবু উবাইদা ইবনুল যাররাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
১১ হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১২ হযরত উসমান ইবন আফফান রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১৩ হযরত আলী ইবন আবী তালিব রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১৪ হযরত হানজালা রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১৫ হযরত হাসান ইবন সাবিত রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১৬ হযরত হারিসা ইবন নুমান রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১৭ হযরত জিয়াদ বিন হারিদ রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১৮ হযরত সালমান ফার্সি রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
১৯ হযরত বাশার হাবিব মাসলামা রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু
২০ হযরত ইব্রাহিম ইবন মুহাম্মদ রাদিআল্লাহু তাআ’লাআনহু

সাহাবীদের সংখ্যাসমূহ কতজন জেনে নিন

সাহাবীদের সংখ্যা নির্ণয় করতে গেলে একটি বিষয় উঠে আসে যে সাহাবীদের সংখ্যা কতজন তা কখনো নির্ণয় করা যাবে না এবং তা কখনো সম্ভবও না। এক্ষেত্রে ইমাম আবু যারাআ আর-রাযী বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইন্তেকাল করেন তখন যারা তাকে দেখেছেন এবং তার কথা শুনেছেন এমন লোকের সংখ্যা প্রায় নারী-পুরুষ মিলে এক লক্ষেরও অধিক

আরও পড়ুনঃসুমাইয়া নামের প্রকৃত অর্থ কি - সুমাইয়া নামের ইংরেজি বানান

তারা প্রত্যেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস বর্ণনা কারী। আর যে সকল সাহাবীগণ হাদীস বর্ণনা করেননি এমন লোকের সংখ্যাও অনেক আর তা কখনো কোন দফতর বা কখনো কোনো ব্যাক্তিবর্গ গণনা করতে পারবে না এটা সাধ্যের বাইরে

শ্রেষ্ট সাহাবীদের নামের তালিকা

জান্নাতি ২০ জন সাহাবীদের নাম নিয়ে আমরা যথারীতি আলোচনা করেছি। এবার আমরা শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সময়ে নবীর সাহচার্যগণ অর্থাৎ সাহাবাগণেরা অনেকেই ছিলেন তাদেরকে গণনা করে শেষ করা যাবেনা। এ বিষয়টি আমি ওপরেও আলোচনা করেছি তবে ব্যাখ্যার ভিত্তিতে একাধিকবার একই শব্দ চলে আসে। 

সাহাবাগণদের মধ্যে অনেক সাহাবাদেরকে শ্রেষ্ঠ সাহাবী বলে গণ্য করা হয়েছে। তবে আপনি নিশ্চয় জানতে চান সেই শ্রেষ্ঠ সাহাবীগণেরা কারা। আসলে পৃথিবীতেই যে সকল সাহাবীদেরকে জান্নাতি সাহাবী বলে ঘোষনা করা হয়েছে তাদেরকেই শ্রেষ্ঠ সাহাবী বলা হয়। আর তারা ছিলেন প্রত্যেকেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের হাদিস বর্ণনাকারী তাছাড়া আরও অনেক সাহাবীরাও রাসুল (সঃ) এর হাদিস বর্ণনা করেছেন।

নবীজির প্রিয় সাহাবীদের নামের তালিকা

এই পৃথিবীতে মানুষদের মাঝে সভ্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষকে সরল সহজ ও সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য মানুষকে অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষের মাঝে ইসলাম প্রচার করে ইসলামিক রীতি-নীতি, জ্ঞান ও চিন্তাধারা এবং ইসলামকে আকড়ে ধরে ইসলামী জীবন আপন করে এক কথায়

আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনার জন্য যুগে যুগে পর্যায়ক্রমে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নবী ও রাসূল আল্লাহ তায়ালা প্রেরণ করেছেন। কারণ পূর্বের যুগ ছিল জাহেলিয়াতের যুগ কুসংস্কারের যুগ। যুগে যুগে বহু নবী রাসুল প্রেরণ করার পর শেষে আল্লাহ তায়ালা যে নবী ও রাসূলকে প্রেরণ করেছেন যাকে উদ্দেশ্য করে এই পৃথিবীকুল সৃষ্টি করা হয়েছে তিনি হলেন

আমাদের প্রিয় নবী তিনিই হলেন আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহতালার প্রেরিত সকল নবী রাসূলের কিছু প্রিয় সাহাবী ছিলেন। তবে সকল নবী ও রাসূলের সাহাবীর চাইতে হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর সাহাবীরাই সবথেকে শ্রেষ্ঠ প্রিয় ও মর্যাদাবান সাহাবী ছিলেন। যারা সদা সর্বদা সব সময়ই নবীজির

খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন এবং তাকে অনুসরণ করে চলতেন। তার বিপরীতে কোন কাজই তারা করতেন না। তবে সকল সাহাবীদের চাইতে নবীজির কাছে সবচেয়ে প্রিয় সাহাবী হলেন হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। কারণ, হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল

বিপদে আপদে সদা সর্বদা সবসময়ই তার সঙ্গে ছিলেন। এই মর্মে নিচে আমি কিছু নবীজির প্রিয় সাহাবীদের নামের তালিকা টেবিল আকারে তুলে ধরলাম।

ক্রমিক নং নবীজির প্রিয় সাহাবীদের নাম
হযরত আবু সিদ্দিক রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু তিনি সব সময় রাসুলুল্লাহ ( সঃ) এর সঙ্গে থাকতেন।
হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু যিনি দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ রাসুল (সঃ) এর খেদমতে নিয়োজিত ছেলেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু তার কাছে রাসুল (সঃ) এর মিসওয়াক এবং জুতা মুবারক থাকতেন।
হযরত আবু জার গিফারি রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত আবুস সামহ উবনে ইয়াদ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত উকবা ইবনে আমের আলজুহানী রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত বুকাইর ইবনে সুদাখ আল লাইসি রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত রাবিয়া ইবনুল কাব আল আসলামী রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত বেলাল রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু তিনি ছিলেন ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিম।
১০ হযরতযায়েদ ইবনে হারেছা যা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু কে রাসুল (সঃ) কিনে আজাদ করে দিয়েছিলেন।
১১ হযরতরাবিয়া ইবনুল কা’আব রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১২ হযরত সাহল ইবনে সা’আদ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১৩ হযরত ওমর ফারুক রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১৪ হযরত আলী রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১৫ হযরত ওসমান রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১৬ হযরত কাতাদাহ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু

নবীজির শহীদ সাহাবীদের নামের তালিকা

পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মকে টিকিয়ে রাখার জন্য মুসলিমদের সঙ্গে কাফেরদের শত শত যুদ্ধ হয়েছে আর সকল যুদ্ধে কাফেরদের সংখ্যা ছিল লক্ষ লক্ষ এবং মুসলিমদের সংখ্যা ছিল সামান্য। তবে প্রতিটি যুদ্ধে মুসলিমরা বিজয় লাভ করেছিলেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সঙ্গে সংঘটিত হওয়া বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের

সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন পক্ষান্তরে কাফিরদের সংখ্যা ছিল লক্ষ লক্ষ। এই ৩১৩ জন সাহাবীর সম্পর্কে এই ওয়েবসাইটে একটি সম্পন্ন আর্টিকেল লেখা আছে তা থেকে বিস্তারিত ভালোভাবে দেখে নিতে পারেন। ৩১৩ জন সৈন্য নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ কখনোই তাদের দেখে ভয় করেননি কিংবা যুদ্ধ করতে একটুও পিছপাঁ হননি। কেননা

রাসূলের সঙ্গে সংঘটিত হওয়া প্রত্যেকটি যুদ্ধেই মুসলিমরেই বিজয় লাভ করেছিলেন পক্ষান্তরে কাফেররা পরাজিত হয়েছেন। এমনকি বদরের যুদ্ধেও মুসলিমরা বিজয় লাভ করেছিলেন আর এই যুদ্ধে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাদের সাহায্য করেছিলেন। এবার আপনি একটু আপনার নিজের জ্ঞানে চিন্তা করে দেখুনতো সামান্য কিছু কারণে

মৃত্যু বরণ করলে আমরা যাকে শহীদ বলে গণ্য করি আসলেই কি  তিনি শহীদ? আমরা কেউই তা জানি না। তবে দিনের পথে চলতে গিয়ে ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে যাদের প্রতি অনাবিল অত্যাচার ও অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে যুদ্ধ করতে গিয়ে যারা নিজের জীবনকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন তারাই তো হলেন প্রকৃত শহীদ আল্লাহতালা তাদেরকেই তো

শহীদের মর্যাদা দিয়ে থাকেন। আর বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৩১৩ জন সাহাবীদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন সাহাবী শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬ জন সাহাবী ছিলেন মুহাজির এবং বাকি ৮ জন ছিলেন আনসারী সাহাবী। এই ১৪ জন শহীদ সাহাবীর নাম নিজে তুলে ধরা হলো।

ক্রমিক নং শহীদি সাহাবীদের নাম
হযরত আকিল ইবনুল বুকাইল রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত হামজালা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত মুয়ায়িজ ইবনূল আফরা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত সাফওয়ান ইবনুল বায়দা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত উবাইদা ইবনে হারিস রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত যুশ-শিমালাইন রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত মাহজা ইবনে সালেহ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত সাদ ইবনে খায়সামা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
হযরত মুবাশ্বর ইবনুল আব্দুল মুন্জির রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১০ হযরত হারিসা উবনে সুরাকা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১১ হযরত উমাইর ইবনে হুমাম রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১২ হযরত আওফ ইবনুল হারিছ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১৩ হযরত ইয়াজিদ ইবনে হারিছ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু
১৪ হযরত উমায়ের ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু

১০০ জন সাহাবীদের নামের তালিকাসমূহ

জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম এবং শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নামের তালিকা সম্পর্কে আমরা জানতে পারলেও যে সকল সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথামতো ইসলামকে টিকিয়ে রাখার জন্য আপামর চেষ্টা সংগ্রাম ও যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাদের নাম আমরা অনেকেই জানিনা এমনকি জানারও চেষ্টা করি না। তৎকালীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে তার সাহচর্যগণ অর্থাৎ সাহাবীগণ

ছিলেন হাজারো হাজার যাদের সংখ্যা অফুরন্ত এবং গণনা করা সাধ্যের বাইরে। তবে সাহাবী হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত আরোপিত হয়েছে (১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে স্বচক্ষে দেখা, (২) তার প্রতি ঈমান আনা এবং তাকে বিশ্বাস করা, (৩) তার দেখানো পথ অনুসরণ করা এবং ইসলামের প্রতি অবিচল থেকে মৃত্যুবরণ করেন অর্থাৎ যাকে বলা হয় (মাউত-আলাল ইসলাম)। যেমন-

১..রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে স্বচক্ষে দেখা: এক্ষেত্রে বলা যায় কেউ যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাম কে স্বচক্ষে দেখেছেন কিন্তু তার প্রতি ঈমান আনেননি বা বিশ্বাস করেনি তাহলে তাকে সাহাবী বলে গণ্য করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, আবু জেহেল, আবু লাহাব, ইত্যাদি প্রমুখ ব্যক্তিবর্গরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজ চক্ষু দ্বারা দেখেছেন কিন্তু তার প্রতি 

আরো পড়ুনঃপৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষের নাম এবং তার পরিচয় জেনে নিন

ঈমান আনেননি এবং আল্লাহর প্রতিও ঈমান আনেননি বা বিশ্বাস করেননি আসলে এদেরকে সাহাবী বলে গণ্য করা যাবে না কারণ তারা ছিল বিখ্যাত কাফের

২..দ্বিতীয় শর্তে, এমন কোন ব্যক্তি যিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য ছিলেন তার সাক্ষাৎ লাভ করেছেন কিন্তু তাকে দেখার সৌভাগ্য জোটেনি তিনি সাহাবী বলে গণ্য হবেন। যেমন-অন্ধ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু।

৩..তৃতীয়ত, মাউত আলাল ইসলাম দ্বারা বোঝায় এমন লোকো সাহাবীদের দলে দলভুক্ত হবেন যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন তাকে স্বচক্ষে দেখেছেন তার প্রতি ঈমান এনেছেন ও বিশ্বাস করেছেন তারপর ধর্মত্যাগী হয়ে গিয়েছেন এরপর আবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাকে সাহাবী বলে গণ্য করা যাবে।

১০০-জন-সাহাবীদের-নাম

কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো আপনি যেন সহজে বুঝতে পারেন যে সাহাবী কারা এবং কাদেরকে সাহাবী বলা হয় ও সাহাবী হওয়ার জন্য কোন কোন গুণগুলো থাকা আবশ্যক। এখানে ১০০ জন সাহাবীর নামের কথা বললেও আপনাদের জ্ঞাতার্থে এবং আপনারা যেন আরও বেশি সাহাবীদের নাম জানতে পারেন সেজন্য আমি ১০০ এরও অধিক সাহাবীগণের নাম তুলে ধরলাম আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সেই সকল সারা জীবনের নাম জেনে নিতে পারবেন

  1. হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  2. হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  3. হযরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  4. হযরত আলী ইবনে আবু তালিব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  5. হযরত জুবায়ের ইবনুল আউয়াম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  6. হযরত তালহা ইবনে ওবাইদুল্লাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  7. হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  8. হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  9. হযরত হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  10. হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  11. হযরত বিলাল ইবনে রাবাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  12. হযরত জাফর ইবনে আবু তালিব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  13. হযরত জায়িদ ইবনে হারিসা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  14. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  15. হযরত আব্দুল্লাহিইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  16. হযরত আল আরকাম ইবনে আবিল আরকাম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  17. হযরত আবু হুরায়রা আদ দাওসি রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  18. হযরত আবু জর গিফারী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  19. হযরত সালমান ফারসি রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  20. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  21. হযরত তোফায়েল ইবনে আমর আদদাউসিন রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  22. হযরত সাঈদ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  23. হযরত সুরাকা ইবনে মালিক রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  24. হযরত আবু মুসা আল আশয়ারী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  25. হযরত আম্মার ইবনু ইয়াসির রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  26. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমার রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  27. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  28. হযরত মিকদাদ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  29. হযরত আমর ইবনুল আস রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  30. হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  31. হযরত আবু হুজায়ফা ইবনে উতবা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  32. হযতর সালেম মাওলা ইবনে হুজাইফা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  33. হযরত উতবা ইবনে গাজওয়ান রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  34. হযরত আমের ইবনে ফুহাইরা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  35. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সুহাইল রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  36. হযরত যায়িদ ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  37. হযরত আবুল আস ইবনে রাবী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  38. হযরত উমাইর ইবনে ওয়াহাব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  39. হযরত সালামা ইবনুল আকওয়া রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  40. হযরত আবু সালামা ইবনে আসাদ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  41. হযরত আবু রাফে রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  42. হযরত শুকরান সালেহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  43. হযরত আবু সুফিয়ান ইবনে হারিস রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  44. হযরত উকবা ইবনুল আমের আর জুহানী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  45. হযরত আবু বারযাহ আল আসলামী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  46. হযরত ফাদল ইবনুল আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  47. হযরত তুলাইব ইবনে উমাইর রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  48. হযরত সাওবান ইবনে নাজতদাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  49. হযরত আমর ইবনে আবাসা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  50. হযরত ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  51. হযরত সালামা ইবনুল হিশাম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  52. হযরত উসমান ইবনে তালহা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  53. হযরত হাজ্জাজ ইবনে ইলাত রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  54. হযরত আবান ইবনে সাঈদ ইবনুল রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  55. হযরত আমর ইবনে উমাইয়া রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  56. হযরত মারসাদ ইবনে আবী মারসাদ আর গালাবী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  57. হযরত ওয়াকিদ ইবনে আব্দিল্লাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  58. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাখরামা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  59. হযরত আস’য়াদ ইবনে মুরারা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  60. উসাইদ ইবনে হুদাইর রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  61. হযরত উবাদা ইবনুস সামিত রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  62. হযরত জাবির ইবনে আব্দিল্লাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  63. হযরত আবু আইয়্যুব আল-আনসারী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  64. হযরত সা’দ আবনে মুয়াজ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  65. হযরত আবু তালহা আল-আনসারী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  66. হযরত আবু মাসউদ আল-বদরী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  67. হযরত আবু কাতাদাহ আল-আনসারী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  68. হযরত মু’য়াজ ইবনে জাবার রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  69. হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  70. হযরত হযরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  71. হযরত আনাস ইবনে নাদার রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  72. হযরত আল-বারা ইবনে মালেক রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  73. হযরত আল-বারা  ইবনে মারুর রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  74. হযরত আল-বারা ইবনে আযিব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  75. হযরত কাতাদা ইবনে ন ‘মান রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  76. হযরত আবু দুজানা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  77. হযরত শাদ্দাস ইবনে আউশ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  78. হযরত আবু লুবাবা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  79. হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  80. হযরত যায়িদ ইবনে সাবিত রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  81. হযরত আমর ইবনে আল-জামূহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  82. হযরত আমর ইবনে হাযম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  83. হযরত কা’ব ইবনে মালিক রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  84. হযরত হাসান বিন সাবিত রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  85. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  86. হযরত সাহল ইবনে সা’দ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  87. হযরত নু’মান ইবনে বাশীর রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  88. হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব আল ফাযারী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  89. হযরত আসিম ইবনে সাবিত ইবনে আবিল আকলাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  90. হযরত আল হারেসা ইবনে সুরাকা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  91. হযরত যায়িদ ইবনে দাসিনা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  92. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে হারাম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  93. হযরত সাবিত ইবনে কায়স রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  94. হযরত আবূ সাঈদ আল-খুদারী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  95. হযরত খুযাইমা ইবনে সাবিত রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  96. হযরত আবুল ইয়াসার ইবনে আমর রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  97. হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  98. হযরত সাঈদ ইবনে আমের আল-জুমাহী রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  99. হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  100. হযরত উসমান ইবনে মাজউন রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  101. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনিল আস রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  102. হযরত শুরাহবীল ইবনে হাসান রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  103. হযরত হাকিম ইবনে হাযাম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  104. হযরত উকাশা ইবনে মিহসান রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  105. হযরত শাম্মাস ইবনে উসমান রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  106. হযরত শুজা ইবনে ওয়াহাব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  107. হযরত মিহরায ইবনে নাদলা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  108. হযরত বুরাইদাহ ইবনুল হুসাইব রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  109. হযরত মিসতাহ ইবনে উসাসা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু
  110. হযরত ওয়াকিদ ইবনে আব্দিল্লাহ রাদিআল্লাহু তাআলাআনহু

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নামের তালিকা

এতক্ষণ আমরা জান্নাতে জান্নাতে এবং শ্রেষ্ঠ পুরুষ সাহাবীদের নাম নিয়ে আলোচনা করেছি এবার আমরা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম নিয়ে আলোচনা করব। ইসলামের পুরো সাহাবীদের কথা বলা হলেও পাশাপাশি মহিলা সাহাবীদের কথাও বলা হয়েছে। ইসলামকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি

অঢেল বিশ্বাস ও তার প্রতি মহব্বতের কারণে অনেক মহিলা সাহাবীগণও নিজের জীবনকে অকাতরে শহীদ করে দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গেও যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন এর ফলে তারা পৃথিবীতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। এমনকি অনেক মহিলা সাহাবীগণ আছেন যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম কে

আরো পড়ুনঃ313 জন শ্রেষ্ঠ সাহাবীর নাম - পুরুষ সাহাবীদের নামের তালিকা অর্থসহ

মহব্বতের দরুন এবং তার দেখানো পথে প্রচলিত হওয়ার কারণে দুনিয়াতে জান্নাত লাভ করেছেন। একজন প্রকৃত মুসলমান হওয়ার জন্য ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান এবং এই সকল ঘটনা সমূহ প্রত্যেকেরই জানা অত্যন্ত প্রয়োজন কিন্তু আমরা এ সকল বিষয়গুলি জানিনা এমনকি জানারও চেষ্টা করে না আসলে তা ঠিক নয়। পৃথিবীতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত

জান্নাতের-সুসংবাদপ্রাপ্ত-মহিলা-সাহাবীদের-নাম

অনেক মহিলা সাহাবীগণ আছেন তার মধ্যে আমি কিছুমহিলা সাহাবীদের নাম এবং তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় একটি টেবিলের মাধ্যমে তুলে ধরলাম আপনি যদি সেই জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের নাম জেনে না থাকেন তাহলে আমাদের এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক  জান্নাতি মহিলা সাহাবীরা কারা।

মহিলা সাহাবীগণের সংখ্যা মহিলা সাহাবীগণের নাম সংক্ষিপ্ত পরিচয়
হযরত মা ফাতেমা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা তিনি ছিলেন একাধারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর স্ত্রী হাসান ও হুসাইনের মা। অন্যথায় তিনি জান্নাতের সমস্ত নারীদের সর্দারীনি
হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী। তার কাছে অঢেল সম্পদ আর টাকা পয়সার কোন অভাব ছিল না তিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন একপর্যায়ে তার সততা সত্যবাদিতা এবং সাহসিকতার কারণে হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাঃ হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিবাহের প্রস্তাব দেন এবং খাদিজা (রাঃ) ৪০বছর বয়সে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তিনিও ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র স্ত্রী
হযরত সুমাইয়া রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা তিনি ছিলেন ইসলামের প্রথম শহীদি নারী। প্রখ্যাত জাহান্নামী কাফেরগণ তাকে টাকা আর সম্পদের লোভ দেখানো সত্বেও ইসলাম থেকে এক জাররা পরিমাণও পিছ পা করতে পারেনি। এক পর্যায়ে তাকে উলঙ্গ অবস্থায় তাকে বল্লম দিয়ে আঘাত করলেও তার মুখ থেকে পবিত্র কালীমাকে সরাতে পারেননি এক পর্যায়ে তিনি শহীদ বরণ করেন এবং সেই স্থানেই আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেন।
হযরত উম্মে সুলাইম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা তিনি ছিলেন হযরত আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর স্ত্রী।
হযরত মরিয়ম আঃ হযরত মরিয়ম আঃ তিনি ছিলেন পবিত্র একজন নারী তাকে কেউ কোনদিন স্পর্শ করেননি অথচ আল্লাহ তায়ালার কুদরতে হযরত ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার গর্ভে জন্ম লাভ করেন যার কারণ ছিল ফেরাউনকে ধ্বংস করা।
হযরত হাফসা রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা হযরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তিনিও ছিলেন রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
হযরত আসিয়া রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা হযরত আসিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তিনি ছিলেন ফেরাউনের স্ত্রী আর ফেরাউনের ঘরে আসিয়াকে পাঠানো হয় নিদর্শন স্বরুপ এবং হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে লালন পালনের উদ্দেশ্যে
হযরত উম্মে হারাম বিনতে মিলহাম রাদিআল্লাহু তাআলাআনহা হযরত উম্মে হারাম বিনতে মিল হারাম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তিনি ছিলেন হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর খালা
১০ হযরত উম্মে হাবিবা তিনি ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন মহিলা সাহাবী এবং অনেক বুদ্ধিমতী জ্ঞানী ও বিচক্ষণশীল মহিলা

জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম সম্পর্কে লেখক এর শেষ কথাঃ

এই আর্টিকেলে জান্নাতি ২০ জন সাহাবীর নাম, শ্রেষ্ঠ সাহাবীর নাম, এবং পৃথিবীতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম এছাড়াও অন্যান্য সাহাবীদের নাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা সাহাবীদের ব্যাপারে সেরকম কোন জ্ঞান রাখেন না আসলে স্বাভাবিক কাদেরকে বলা হয় এবং কোন কোন মহিলা ও

পুরুষ সাহাবীগণ পৃথিবীতে জান্নাত প্রাপ্ত হয়ে গিয়েছেন তাদের ব্যাপারেও কোনো খোঁজখবর রাখেন না এবং জানার চেষ্টাও করেন না যে বিষয়গুলি প্রত্যেকটি মুসলমান নর এবং নারীর জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এই সকল বিষয়গুলি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত

পড়ে সাহাবীদের ব্যাপারে আপনার না জানা তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন আশা করি আপনি উপকৃত হবেন। আমি মোঃ শামসুল হক এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে থাকে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি তবে লেখালেখির ভেতরে যদি কোন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নিজ ইচ্ছায় আমাকে মাফ করবেন।

এ ধরনের আরো অজানা তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং এই ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক (ধন্যবাদ)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url